কিউই বধের আরেক নায়ক শরিফুল

কিউই বধের আরেক নায়ক শরিফুল

যুব বিশ্বকাপে বল হাতে সেই আগ্রাসনই অনেকটা বলে দিচ্ছিল, লম্বা রেসের ঘোড়া হতে চলেছেন শরিফুল ইসলাম। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জয়ের পরের বছরে মিলল জাতীয় দলে ডাক এবং সেখান থেকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এই বাঁহাতি পেসারকে। 

ক্যারিয়ারে পা দিয়েছেন নিজের তৃতীয় বছরে। বিকল্প বাঁহাতি পেসার হিসেবে এসেছিলেন স্কোয়াডে, সেখান থেকে অল্প সময়েই পরিণত হয়েছেন একাদশের অটো চয়েসে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে এসে প্রতিদিনই যেন নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন শরিফুল। 

নিউজিল্যান্ড সফরের পেসারদের গুরুদায়িত্ব নিজেই বয়ে বেড়াচ্ছেন। পারফর্মও করলেন। ওয়ানডেতে তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৬ উইকেট, যা পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

এবার পালা সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে। ওয়ানডে সিরিজটা যেখানে শেষ করেছেন, টি-টোয়েন্টির শুরুটা করলেন ঠিক সেখানেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বল তুলে দিলেন শরিফুলের হাতে। প্রথম বলেই ইয়োর্কার দিয়ে জানান দিলেও ফরম্যাটে হতে পারে বদল, তবে আগ্রাসন আর কার্যকরিতা থাকবে সমানে সমান। প্রমাণ মিলল পরের বলেই। ইয়র্কার থেকে এবার বল করলেন ওয়াইড লেংথে, সেখানেই ধরা পড়লেন ওপেনার টিম সেইফার্ট। 

পরের বলে পিচে আসা গ্লেন ফিলিপসকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে গোল্ডেন ডাক তুলে দিলেন তার হাতে। শরিফুল তখন বল করেছেন তিনটি, কোনো রান না দিয়ে পেয়ে গেছেন দুই উইকেট। নিউজিল্যান্ডের ওপর চাপ ছিল প্রথম ওভার থেকেই, শরিফুল এসে একেবারে কিউইদের ঠেসে ধরলেন দেয়ালের সঙ্গে।

পরে তুলে নিয়েছেন কিউই কাপ্তান মিচেল স্যান্টনারের উইকেটও। ৪ ওভার বলে ৬.৫০ ইকোনমিতে ২৬ রান খরচে নিয়েছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট। 

চলতি বছরে একের পর এক শীর্ষস্থান দখল করে চলেছেন শরিফুল। একদিনের ক্রিকেটে এ বছরে ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে ৩৩ ম্যাচে ছুঁয়েছেন দেশের হয়ে তৃতীয় দ্রুততম ৫০ উইকেটের মাইলফলক। এবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইতিহাস গড়াতেও রাখলেন বড় অবদান!

সম্পর্কিত খবর