অথচ এই ‘ক্যাপ্টেন শান্ত’কে সরিয়ে দিতে চায় বিসিবি!
দেশের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়। এরপর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি জয়। এসবই এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে।
অধিনায়কত্বের বিবেচনায় না থাকলেও হঠাৎ করেই বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম নেতৃত্ব পান শান্ত। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে যাকে ভাবা হচ্ছিল সে লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্বভার বুঝে নিয়েছিলেন শান্ত।
প্রথম সিরিজে ফল এনে দিতে না পারলেও তার মাঝে নেতৃত্বগুণ চোখে পড়েছিল বোর্ড কর্তাদের। তাই তো বিশ্বকাপে বিশ্বকাপে লিটনকে টপকে সাকিবের ডেপুটির দায়িত্ব ওঠে তার কাঁধে। বিশ্বকাপে চোটের কারণে দুই ম্যাচ মিস করেন সাকিব, তখন সে ম্যাচ দুটিতে দলকে নেতৃত্ব দেন শান্ত।
নেতৃত্বের এই পরীক্ষাগুলোতে নজর কেড়ে এখন জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছেন শান্ত। কিউইদের বিপক্ষ টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি - তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাফল্য ধরা দিয়েছে সব ফরম্যাটেই।
কিন্তু ওই যে নামের সঙ্গে সেঁটে আছে ভারপ্রাপ্ত ট্যাগটা। শান্তকে তাই যখন কিউইদের বিপক্ষ টেস্ট সিরিজের আগে নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন দীর্ঘমেয়াদে নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেছিলেন। বলেছিলেন, যাকেই নেতৃত্ব দেয়া হোক না কেন, সে যেন কাজ করার পর্যাপ্ত সময় পায়।
কিন্তু বিসিবি দিয়েছে অন্যরকম ইঙ্গিত। সম্প্রতি বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস পরিস্কার বলে দিয়েছেন, তিন ফরম্যাটে সাকিবই থাকবেন নেতৃত্বে, শুধু তার অনুপস্থিতিতে ভ্রারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্বই পালন করবেন শান্ত।
ঘরের মাটিতে টেস্ট এবং নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পরও কি শান্তকে এত সহজেই নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে সাকিবের ডেপুটি বানিয়ে রাখবে? সাকিব যেহেতু ২০২৫ সালে ক্রিকেট ছাড়ার একটা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন এবং অদূর ভবিষ্যতে তার রাজনৈতিক ব্যস্ততাও আরও বাড়বে বই কমবে না। তাই দলে একটা স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখন আপন নেতৃত্বগুণে সবাইকে মুগ্ধ করা শান্তকে স্থায়ীভাবে নেতৃত্ব দেয়া যায় না?