সেঞ্চুরিয়ানে ইনিংস ব্যবধানে হার ভারতের
সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের প্রথম ইনিংসে লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ২৪৫ রানের পুঁজি পায় ভারত। জবাবে অবসরের ঘোষণা দিয়ে সিরিজ খেলতে নামা ডিন এলগারের অনবদ্য ১৮৫ রানের ইনিংস ও মার্কো জেনসেনের অপরাজিত ৮৪ রানে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ৪০৮ রানে। ১৬৩ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। সেই রান টপকে টার্গেট ছুড়া দূরে থাক ইনিংস ব্যবধানে হারটাও এড়াতে পারেনি রোহিত শর্মার দল। ম্যাচ হেরে বসেছে তৃতীয় দিনেই। তাও ইনিংস ও ৩২ রানের ব্যবধানে। এ জয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
জয়ের পথটা অবশ্য ভারতের প্রথম ইনিংসেই প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন কাগিসো রাবাদা। ৫ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের আটকে দিয়েছিলেন মাত্র ২৪৫ রানে। এই রানে প্রোটিয়া ডেরায় টেস্ট জেতা কঠিন; সেটা অনুমেয়ই ছিল। সেটা আরও স্পষ্ট হতে থাকে ডিন এল এলগার উইকেটে ঢাল হয়ে দাঁড়ালে। তার ১৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংসের পর প্রোটিয়াদের বড় লিড এনে দেন জেনসেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৪ রানে। প্রোটিয়ারা এগিয়ে থাকে ১৬৪ রানে।
সেই রান টপকে নতুন করে টার্গেট ছুড়ে ম্যাচ জেতা ভারতের জন্য কঠিনই ছিল। শঙ্কা ছিল ইনিংস ব্যবধানে হারেরও। সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হয় ৫২ রানে তিন উইকেট খোয়ালে। এক প্রান্ত আগলে রেখে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে সঙ্গ পাননি কারও। নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে থেকে বিরাট কোহলি দেখলেন অপরপ্রান্তে তার সতীর্থদের বিদায়। কিছুই করতে পারলেন না কোহলি।
রাবাদা অভিষিক্ত নন্দ্রে বার্গার ও জেনসেনের বোলিং তোপের মুখে পড়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে সফরকারী ব্যাটাররা। কোহলির পর শুভমান গিল ছাড়া দুই অংকের কোটাও পূরণ করতে পারেনি ভারতের কোনো ব্যাটার। কোহলির ওপর দায়িত্ব তখন ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা এড়ানো। কিন্তু একা হাতে তিনিই বা আর কতটা পারবেন। অপর প্রান্তে সঙ্গ না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই মারতে গেলেন। আর ধরা পড়লেন রাবাদার হাতে। ৭৬ রানে থামতে হলো তাকে ভারতের ইনিংস থামল ১৩১ রানে। নিশ্চিত হলো ইনিংস ও ৩২ রানের হারের।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
ভারত: ২৪৫ (রাহুল ১০১, কোহলি ৩৮; রাবাদা ৫/৫৯, বার্গার ৩/৫০)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪০৮ (এলগার ১৮৫, বেডিনঘাম ৫৬, জেনসেন ৮৪; বুমরাহ ৪/৬৯, সিরাজ ২/৯১)
ভারত: ১৩১ (কোহলি ৭৬, গিল ২৬; বার্গার ৪/৩৩, জেনসেন ৩/৩৬)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ৩২ রানে জয়ী।