পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলেন লিটন?
প্রথম ম্যাচের সেরা পারফর্মার ছিলেন তিনি। ওপাশে যখন উইকেট খোয়াচ্ছিল বাংলাদেশ, এক পাশ আগলে রেখে লিটন দাসই বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের বন্দরে।
তবে সেই ম্যাচে পাওয়া এক চোটে শঙ্কা ছিল তাকে নিয়ে। একটা বাড়তি রান নিতে গিয়ে ডাইভ দিয়েছিলেন, যার ফলে চোট পেয়েছিলেন হ্যামস্ট্রিংয়ে।
নেপিয়ার থেকে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে যখন পা রাখছেন, তখনও রীতিমতো খোঁড়াচ্ছিলেন লিটন। দ্বিতীয় ম্যাচে তার খেলা নিয়ে শঙ্কাটা বাড়ে তাতে।
শেষমেশ সে শঙ্কাটাই সত্যি হলো আজ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাকে ছাড়াই নেমেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শুরুর বেশ আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় বিষয়টা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে জানায়, লিটনকে পাওয়া যাচ্ছে না এই ম্যাচে।
তবে বাড়তি শঙ্কা নিয়ে এসেছে সে বিবৃতির কথাগুলো। ফিজিও কিয়েরান থমাস জানান, ‘লিটন দাসের ডান হ্যামস্ট্রিংয়ে লো গ্রেড স্ট্রেইন আছে। যা এমআরআই পরীক্ষার ফল দেখে পরিষ্কার বোঝা গেছে। তাকে দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়া যাবে না। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে তার।’
হ্যামস্ট্রিংয়ে লো গ্রেড স্ট্রেইন থেকে সেরে উঠতে গড়পড়তা সময় প্রয়োজন পড়তে পারে এক সপ্তাহের মতো সময়ও! ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টস এক্সারসাইজ অ্যান্ড হেলথের ভাষ্য এমনই।
সেখানে বলা হচ্ছে, ‘লো গ্রেড হ্যামস্ট্রিং চোট থেকে সেরে উঠতে একাধিক দিন থেকে এক দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। তারপর চোট পাওয়া ব্যক্তি খেলা বা কার্যক্রমে ফিরতে পারবেন। বড় চোটগুলো থেকে সেরে উঠে খেলোয়াড়দের খেলায় ফিরতে ২ থেকে ৬ সপ্তাহের মতো লেগে যেতে পারে।’
লিটনের চোটও লো গ্রেড স্ট্রেইনই। এ থেকে সেরে উঠতে যদি এক সপ্তাহও সময় লাগে, তাহলেও সিরিজটা থেকে ছিটকে যাবেন তিনি, কারণ শেষ ম্যাচটা আগামী রোববারই।
চোট থেকে সেরে উঠতে লিটন রিকভারি শুরু করে দিয়েছেন ইতোমধ্যেই। তবে ম্যাচ ফিট হতে কত সময় নেন, তাই এখন দেখার বিষয়।