কারা আছে কারা নেই, তা ভাবি না
চোটের কারণে সাকিব আল হাসান মাঠের বাইরে। চোট না হলেও তিনি খেলতেন কি না, তা নিয়েও আছে সন্দেহ, তিনি যে এখন ব্যস্ত নির্বাচনী প্রচারণায়! ওদিকে আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবালও পুরোপুরি ফিট নন, তাই তিনিও ক্রিকেটের বাইরে। নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও, কাধের চোটের কারনে তিনিও মাঠের বাইরে। গিয়েছিলেন স্রেফ মুশফিকুর রহিম। টি-টোয়েন্টিতে নেই তিনিও।
সব মিলিয়ে এ বাংলাদেশ নতুন বাংলাদেশই। ওয়ানডেতে জিতেছে এক ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে এখন সিরিজ জয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে। অভিজ্ঞদের অভাবটা বাংলাদেশ টেরই পাচ্ছে না।
তবে তাওহিদ হৃদয়ের অভিমত, বিষয়টা তো এক সময় হতোই। তার ভাষ্য, ‘বড় ভাইরা যারা ছিলেন, তারা আমাদের দেশের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। সব ঠিক থাকলে তাদের কয়েক জনও এখানে খেলত। তাদের বিষয়ে আমি কিছু বলব না। এটা এমন একটা জায়গা যেখানে সবাই সবসময় থাকবে না। আমরা এখন আছি, আমরাও একটা সময় থাকব না।’
অভিজ্ঞদের ছাড়া খেলতে নামলেও দলের মানসিকতা থাকে সর্বোচ্চ ফলটা অর্জনেরই। তাওহিদের কথা, ‘জাতীয় দলের হয়ে যেই নামে, সেই চেষ্টা করে তার সেরাটা দেওয়ার। আমরা যখন মাঠে নামি, জেতার জন্যই মাঠে নামি। কে আছে কে নাই এটা দেখি না। আমাদের ভেতরেও সে বিশ্বাসটা কাজ করে। আশা করি সামনেও এই বিষয়টা কন্টিনিউ করতে পারব। আমাদের সবার বিশ্বাস আমরা এটা ভালোভাবে এক্সিকিউট করতে পারব।’
মাঠে অবশ্য সে বিশ্বাসের ছাপটা দেখা যাচ্ছে। তাই তো বাংলাদেশ এখন দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডে সিরিজ জয়ের দুয়ারে।