ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ফিকে
প্রথম ম্যাচ জয়ের পর, দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত। এতে সিরিজে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তাই আরও একটি ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। কিউইদের মাটিতে প্রথম কোনো সিরিজ জেতার। তবে সেই স্বপ্নের অর্ধেকটা ফিকে হলো প্রথম ইনিংস শেষে, ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে। আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের যাওয়া আসার মিছিলে কেবল ১১০ রানের সংগ্রহ পায় নাজমুল হাসান শান্তর দল।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগে টসে জিতে সরফরকারীদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। এতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ওভারেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। যা চলমান থাকে শেষ পর্যন্ত। এদিন কোনো ব্যাটারই পারেননি ২০ রানের গণ্ডি পেরোতে। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে শান্তদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১০ রান। এতে সিরিজ জেতার ম্যাচে কিউইদের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় স্রেফ ১১১ রানের।
ভাগ্যটা বদলানোর শুরু টস থেকেই। আগের দুই ম্যাচ টস জয়ের পর এই ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। এতে কিউইদের থেকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় শান্ত-সৌম্যরা। সেখানেই শুরুতেই চাপে পড়ে সফরকারীরা। লিটন দাস এদিনও একাদশে না থাকায় রনি তালুকদারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার। তবে সিরিজজুড়ে ছন্দে থাকলেও এদিন হলেন ব্যর্থ। ইনিংসের চতুর্থ বলে ফেরেন টিম সাউদির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। শুরুর সেই চাপ সামলে আরেক ওপেনার রনিকে নিয়ে এগোতে থাকেন অধিনায়ক শান্ত। তবে বেশিক্ষণ টিকলেন না তিনিও। দলীয় ৩১ রানের মাথায় ফেরেন অ্যাডাম মিলনের বলে। শান্তর ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান। কেননা এদিন কোনো ব্যাটারই পেরোতে পারেননি ২০ রানের গণ্ডি।
পরের ওভারে ফেরেন রনিও (১০)। দলীয় ৪১ রানের মাথাতেই তিন উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ, সেখানে আরও এক মাত্রা যোগ করে কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। তার ঘূর্ণিতে মিছিল নামে ব্যাটারদের যাওয়া-আসায়। ৪ ওভার বলে কেবল ১৬ রান খরচে চার ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখান স্যান্টনার।
এতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১০ রানে থামে বাংলাদেশ। সাউদি, মিলনে ও বেন সিয়ার্স নেন দুটি করে উইকেট।