স্বল্প পুঁজিতে লড়াই করে হারল বাংলাদেশ, সমতায় সিরিজ
মাঝে সম্ভাবনা জেগেছিল স্বল্প পুঁজিতেই ম্যাচ জয়ের। তবে জেমস নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারের জুটি ও বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল সেই সম্ভাবনা। বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে ম্যাচ জিতল নিউজিল্যান্ড। এতে ৩ ম্যাচের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
প্রথম ম্যাচ জয়ের পর, দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত। এতে সিরিজে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তাই আরও একটি ইতিহাসের সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। কিউইদের মাটিতে প্রথম কোনো সিরিজ জেতার। তবে সেখানে বাড়ল অপেক্ষা। ১১০ রানের স্বল্প পুঁজিতে বল হাতে লড়াই চালালেও শেষ পর্যন্ত জয় গেল কিউইদের ঝুলিতে, সিরিজ বাঁচল তাদের।
লক্ষ্যটা মামুলি ১১১ রানের হলেও বাংলাদেশের বোলারদের নৈপুণ্যে শুরুতেই তা কঠিন হয়ে পড়ে কিউইদের জন্য। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার টিম সাইফার্টকে (১) ফেরান মাহেদি। নিজের পরের ওভারে ড্যারিল মিচেলকেও ফেরান এই অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার। এরপর দুই ব্যাটারকে ফেরান শরিফুল। গ্লেন ফিলিপসের পর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা ওপেনার ফিন অ্যালেনকেও ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। ৪৯ রানেই সাজঘরে ফেরেন পাঁচ কিউই ব্যাটার।
তবে শুরুর সেই চাপ সামাল দেন জেমস নিশাম ও অধিনায়ক স্যান্টনার। তাদের জুটির ৪৬ রানের মাথায় নামে বৃষ্টি। ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা তখন পুরোপুরি ছুটল শান্তদের হাত থেকে। ১৪ ওভার ৪ বলে কিউইদের স্কোরবোর্ডে তখন ৯৫। সেখানে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে এগিয়ে ছিল তারা। এবং বৃষ্টির মাত্রা বিবেচনায় সেই ব্যবধানেই ঘোষণা হলো ম্যাচের ফলাফল। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা পুরস্কার জেতেন স্যান্টনার। এদিকে তিন ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা পেসার শরিফুল ইসলাম।
এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগের দুই ম্যাচ টস জয়ের পর এই ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। এতে কিউইদের থেকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় শান্ত-সৌম্যরা। সেখানেই শুরুতেই চাপে পড়ে সফরকারীরা। লিটন দাস এদিনও একাদশে না থাকায় রনি তালুকদারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার। তবে সিরিজজুড়ে ছন্দে থাকলেও এদিন হলেন ব্যর্থ। ইনিংসের চতুর্থ বলে ফেরেন টিম সাউদির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। শুরুর সেই চাপ সামলে আরেক ওপেনার রনিকে নিয়ে এগোতে থাকেন অধিনায়ক শান্ত। তবে বেশিক্ষণ টিকলেন না তিনিও। দলীয় ৩১ রানের মাথায় ফেরেন অ্যাডাম মিলনের বলে। শান্তর ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান। কেননা এদিন কোনো ব্যাটারই পেরোতে পারেননি ২০ রানের গণ্ডি।
পরের ওভারে ফেরেন রনিও (১০)। দলীয় ৪১ রানের মাথাতেই তিন উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ, সেখানে আরও এক মাত্রা যোগ করে কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। তার ঘূর্ণিতে মিছিল নামে ব্যাটারদের যাওয়া-আসায়। ৪ ওভার বলে কেবল ১৬ রান খরচে চার ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখান স্যান্টনার।
এতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১০ রানে থামে বাংলাদেশ। সাউদি, মিলনে ও বেন সিয়ার্স নেন দুটি করে উইকেট।