বিগ ব্যাশের মাঝপথেই দেশে ফিরতে হচ্ছে মুজিবকে
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেললে অল্প সময়ে অনেক টাকা মেলে। যেটা কল্পনাও করা যায় না দেশের হয়ে। আর এই অবস্থায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের লোভনীয় টোপ না গিলে থাকাটা কঠিনই বটে। তারকা ক্রিকেটাররাও সে কারণে প্রতিনিয়ত সুযোগ খোঁজেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে অল্প সময়ে অনেক টাকা কামানোর। নাম দেন বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের নিলামে।
অন্যদিকে জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দলগুলোও আগ্রহ হারায় ক্রিকেটারদের প্রতি। কেননা, লিগ চলাকালীন জাতীয় দলের খেলা থাকলে ওই সময়ে তার সার্ভিস পায় না ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। অর্থাৎ যার পেছনে আপনি কোটি টাকা ঢাললেন তাকে পেলেন না নিজের প্রয়োজনের সময়। বিষয়টা সাংঘর্ষিকই বটে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে অধিক অর্থ পেতে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতে চান না ক্রিকেটাররা।
যার জেরে কদিন আগেই আগামী দুই বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলায় তিন ক্রিকেটারকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। যাদের মধ্যে ছিলেন নাবীন-উল-হক, ফজলহক ফারুকী ও মুজিব উর রহমান। এরইমধ্যে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে নাবীন ও ফজল অনেকটাই সমাধান করে ফেলেছেন নিজেদের সমস্যা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অংশ নিয়ে খেলছেন আরব আমিরাতের বিপক্ষেও। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন মুজিব।
পূর্বের পাওয়া এনওসি নিয়ে বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। দলটিও জানিয়েছিল আফগানিস্তান বোর্ড থেকে তার ব্যাপারে তাদের কিছু না বলায় খেলা চালিয়ে যাবেন মুজিব। খেলা চালিয়েও যাচ্ছিলেন এই স্পিনার। তবে এবার আর সেটা হতে দিচ্ছে না আফগান বোর্ড। পূর্বের দেওয়া এনওসি শর্তে পরিবর্তন এনে মুজিবকে দেশে ফিরতে বলেছে তারা। ক্রিকেটারের স্বার্থে বিষয়টি মেনে নিয়ে মুজিবকেও দেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে ক্লাবটি।
অর্থাৎ আগামী দুই বছরের জন্য মুজিবের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলা শেষ হচ্ছে এখানেই। ফলে আসন্ন জানুয়ারিতে শুরু হওয়া বিপিএলে রংপুর রাইডার্স সার্ভিস পাবে না তার। এই ক্রিকেটার খেলতে পারবেন না আইপিএলেও। এখন দেখার বিষয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে যেতে রাজি হয় কি-না মুজিব। তবে সেটি না হলে যে তার ওপর শাস্তিটা আরও বাড়বে সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।