বিদায় বেলায় আপ্লুত ওয়ার্নার, এখনও পোড়ায় হিউজের স্মৃতি
জীবন এমনই; মুহূর্তেই নিভে যায় প্রাণ প্রদীপ। ফুরোয় সকল লেনদেন। তবুও মানুষ হাতড়ে বেড়ায় স্মৃতি। যা ক্ষণে ক্ষণে আবেগে ভাসায়, করে রোমাঞ্চিত। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগে ভেসেছেন ডেভিড ওয়ার্নারও। সিডনির এই মাঠেই যে প্রিয় সতীর্থকে হারিয়েছেন তিনি। যেই দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে। এখনও ব্যাট করার সময় উইকেটের অপর-প্রান্তে ফিলিপ হিউজকে দেখতে পান ওয়ার্নার। যা শেষবারের মতো মাঠে নামার আগে ভক্তদের জানিয়েছেন। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম ব্যথাতুর এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে ভাসিয়েছেন আবেগে।
ওয়ার্নার কি করেই বা ভুলবেন সেদিনের এই দুঃসহ স্মৃতি। নিজের চোখের সামনেই যে প্রিয় সতীর্থকে চলে যেতে দেখেছেন। তুলে দিয়েছেন শেষবারের মতো অ্যাম্বুলেন্সে। যেখান থেকে ফিল হিউজের আর ফেরার সুযোগ হয়নি কোনো দিন। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে দুটি সেঞ্চুরি করা হিউজের জুটেনি তারকা খ্যাতি।
অথচ আজ সব ঠিক থাকলে হয়তো ওয়ার্নারের মতোই ফিল হিউসকে শেষ টেস্টের জন্য শুভেচ্ছায় ভাসানো হতো। সাজানো হতো মাঠ। কিন্তু একটা বল মুহূর্তেই কেড়ে নিল গোটা জীবন। অজিরা পেল না একজন প্রকৃত টেস্ট ব্যাটারকে। যা আজও পুড়ায় ওয়ার্নারকে।
বিদায়ী টেস্টের আগে ২০১৪ সালের সেই মর্মান্তিক দিনের কথা স্মরণ করে ওয়ার্নার বলেন, ‘সেদিন সে পড়ে গিয়েছিল এরপর আর উঠে দাঁড়ায়নি। যা ছিল ভয়ঙ্কর। এটা এখনও আমাকে কঠিন আঘাত করে। আমি সবসময় তাকে অন্য প্রান্তে দেখি। সমস্ত ছেলেরা জানে সে আমাদের দিকে তাকাচ্ছে।’
হিউজ থাকলে যে আজ তার কিংবা উসমান খাজার জায়গায় খেলতেন সেটা মানেন ওয়ার্নার, ‘সে আমাদের সর্বকালের সেরা ওপেনিং ব্যাটারদের একজন হতো। সে সব ধরনের শট খেলতে পারত। তার চরিত্র ও তার হাসি ঘর আলোকিত করে। সবাই তার সাথে ঘনিষ্ঠ। কেউ কখনও তার সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে পারবে না। আমি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাস করি -যদি সে আমাদের সাথে থাকতেন - তবে আমার বা খাজা অবস্থানে থাকতেন।’