দুই সেশনেই নেই ২০ উইকেট!

দুই সেশনেই নেই ২০ উইকেট!

দক্ষিণ আফ্রিকার রান টপকে প্রথম ইনিংসে ৯৮ রানের লিড পেয়েছে ভারত। যা যথেষ্ট ভালো। কিন্তু সমস্যা হলো কেপটাউন টেস্টের প্রথম দিনের দুই সেশনেই ২০ উইকেট খুইয়েছে দু’দল। দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ২৩.২ ওভার ব্যাট করে তুলেছিল মাত্র ৫৫ রান। যার জবাবে ৩৪.৫ ওভার ব্যাট করে ভারত তুলতে পেরেছে ১৫৩ রান। এখনও বাকি পুরো একটা সেশন। টেস্ট ইতিহাসে এমন দিন শেষ কবে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব!

কেপটাউনে প্রোটিয়াদের ৫৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা ‍খুলতে পেরেছে মোটে ভারতের ৪ ব্যাটার। বাকি সাতজন রানের খাতাই খুলতে পারেনি। এর মধ্যে ১৫৩ রানে থাকাকালিন শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৬ জন! যা টেস্টে একই স্কোরে আউট হওয়া সর্বাধিক ব্যাটারের রেকর্ড। এদিন দু’দল মিলিয়ে মোট ৩৪৯ বল খেলেছেন। যা টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

কেপটাউনের উইকেট বরাবরি সুবিধা দেয় পেসারদের। ব্যাটারদের জন্য হয়ে উঠে আতঙ্কের নাম। এমনটা জানাই ছিল। তাই বলে এই উইকেট ব্যাটারদের জন্য এমন বধ্যভূমিতে পরিণত হবে। সেই আচটা অবশ্য পাওয়া যাচ্ছিল শুরু থেকেই। আগে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়া ব্যাটারদের রীতিমতো চেপে ধরে সিরাজ-বুমরাহ-মুকেশরা। সিরাজের ৬ উইকেটের সঙ্গে বাকি চার উইকেট নিয়েছেন দু’জনে। প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে মাত্র ৫৫ রানে।

জবাবে ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। জয়সওয়াল অবশ্য ফিরে যান রান না করেই। এরপর শুভমান গিলকে নিয়ে প্রোটিয়াদের রান টপকে লিড এনে দেন রোহিত। থিতু হওয়ার পর অবশ্য দু’জনেই হতাশ করেছেন। ৩৯ রানে রোহিত ফেরার পর গিল ফিরেন ৩৬ রানে। ১০৫ রানে তিন উইকেট হারায় ভারত। এরপরও যথেষ্ট ব্যাটার থাকায় ভারতের লক্ষ্যটা বড়ই ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়ে উঠেনি। বিরাটকে সঙ্গ দিতে পারেনি কোনো ব্যাটার। শেষদিকে লোকেশ রাহুলের ৮ রান ছাড়া বাকিরা রানের খাতাই খুলতে পারেননি। বিরাট ৪৬ রানে থামলে ১৫৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে ভারত! ক্রিকেট ইতিহাসে যা ঘটল প্রথমবারের মতো।

প্রোটিয়াদের তিন পেসার কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি ও নন্দে বার্গার নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট।

সম্পর্কিত খবর