কেপটাউনে ২৩ উইকেটের রেকর্ডময় একদিন
ব্যাটারদের জন্য রীতিমতো বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে ক্যাপটাউনের উইকেট। পেসারদের দাপুটে একদিনেই দু’দলের ২৩ উইকেট খোয়া গেছে। যার মধ্যে প্রথম দুই ইনিংস আবার শেষ হয়েছে দুই সেশনেই। হয়েছে বেশকিছু রেকর্ডও। তবে এসব ছাপিয়ে দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে ৩৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামবে স্বাগতিকরা।
এদিন আগে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়া ব্যাটারদের রীতিমতো চেপে ধরে সিরাজ-বুমরাহ-মুকেশরা। সিরাজের ৬ উইকেটের সঙ্গে বাকি চার উইকেট নিয়েছেন দু’জনে। তাতে প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে মাত্র ৫৫ রানে। তাতে হয় রেকর্ড। ১৯৩২ সালের পর এত কম রানে আলআউট হওয়ার নজির গড়ে প্রোটিয়ারা। যা আবার ভারতের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
জবাবে ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। জয়সওয়াল অবশ্য ফিরে যান রান না করেই। এরপর শুভমান গিলকে নিয়ে প্রোটিয়াদের রান টপকে লিড এনে দেন রোহিত। থিতু হওয়ার পর অবশ্য দু’জনেই হতাশ করেছেন। ৩৯ রানে রোহিত ফেরার পর গিল ফিরেন ৩৬ রানে। ১০৫ রানে তিন উইকেট হারায় ভারত।
এরপরও যথেষ্ট ব্যাটার থাকায় ভারতের লক্ষ্যটা বড়ই ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়ে উঠেনি। বিরাটকে সঙ্গ দিতে পারেনি কোনো ব্যাটার। শেষদিকে লোকেশ রাহুলের ৮ রান ছাড়া বাকিরা রানের খাতাই খুলতে পারেননি। বিরাট ৪৬ রানে থামলে ১৫৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে ভারত! যাও একটি রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ ইতিহাসে যা ঘটল এই প্রথমবারের মতো।
শেষবার এমনটি দেখা গিয়েছিল ১৯৯০ সালে। সেবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করতে গিয়ে শেষ ৩ রানে ৫ ব্যাটারের উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। যা ছিল এতদিন পর্যন্ত একইরানে সবচেয়ে বেশি ব্যাটারের উইকেট হারানোর রেকর্ড। সেটা আজ কেপটাউনে নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। নাম লিখিয়েছে বিরল এক রেকর্ডে।
দ্বিতীয় ইনিংসে জবাবটা কেমন দেয় প্রোটিয়ারা সেটাই ছিল দেখার। সেখানে অবশ্য প্রথম ইনিংস অপেক্ষা দ্বিতীয় ইনিংসে ভালোই ব্যাট চালিয়েছে স্বাগতিকরা। ৬২ রান জমা করেছে। যদিও এখনও ভারতের চেয়ে ৩৬ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিনে ৩৬ রানে মার্করাম ও ৭ রানে বেডিংহাম ব্যাট করতে নামবেন। তাদের ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা। আর সেটি করতে না পারলে যে দ্বিতীয় দিনেই শেষ হচ্ছে কেপটাউন টেস্ট সেটুকু বলে দেওয়ায় যায়।