এক দিনে ২৩ উইকেট, বিস্ময় কাটছেই না শচীনের
কখনো কি এমন হয়েছে যে আপনি আপনার দলকে ভালো অবস্থানে দেখে কোনো একটা কাজে গেছেন, এরপর ফিরে দেখলেন আপনার প্রিয় দল রীতিমতো অলআউট? চলমান কেপটাউন টেস্ট সে স্বাদই দিল শচীন টেন্ডুলকারকে! দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ভারতের ব্যাটিং লাইন আপও যে ভেঙে গেছে তাসের ঘরের মতো করে!
শচীন টেন্ডুলকার ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন দশ বছরেরও বেশি সময় আগে। তবে দল সম্পর্কে খোঁজটা ঠিকঠাকই রাখেন। কাল যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের বোলিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন নিজের এক্স একাউন্টে।
কাল সকালের সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট করে দেয় ভারত। মোহাম্মদ সিরাজ ১৫ রান খরচায় তুলে নেন ৬ উইকেট। শেষ ৯২ বছরে এর চেয়ে কম রানে আর কখনোই অলআউট হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগেই অবশ্য শচীন তার এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘নিউল্যান্ডসে জাদু দেখাচ্ছে সিরাজ। অনবদ্য লাইন-লেন্থ, সিম বোলিংয়ের দারুণ এক প্রদর্শনী!’
দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হতেই শচীন চড়ে বসেন বিমানে। ভারতেরই কোথাও যাত্রা করছিলেন। গন্তব্যে নেমে যা দেখলেন, তাতে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা আবারও ব্যাট করছে, তাদের আবার তিনটা উইকেটও নেই হয়ে গেছে।
মাঝে ভারত ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের দৃঢ়তায় চার উইকেট খুইয়ে পৌঁছে যায় ১৫৩ রানে। তবে সেখান থেকে আর একটা রানও যোগ করতে পারেনি, শেষ ছয় উইকেট খুইয়ে বসে শূন্য রান যোগ করতেই। তাতে রেকর্ডও গড়ে ফেলে। টেস্টের ইতিহাসে এত কম রানে শেষ ছয় উইকেট খোয়ানর নজির যে আর একটিও নেই!
এই পুরো বিষয়টাই মিস করে যান শচীন। ফ্লাইট থেকে নেমে দেখেন যে আবারও দক্ষিণ আফ্রিকাই ব্যাট করছে। এরপর এক্সে এসে আবারও তিনি তার বিস্ময় প্রকাশ করেন। লেখেন, ‘২৪ এর ক্রিকেট শুরু হলো ২৩ উইকেটের এক দিন দিয়ে, অবিশ্বাস্য! দক্ষিণ আফ্রিকা যখন অলআউট হয়, তখন ফ্লাইটে উঠেছিলাম। এখন বাসায় এসে টিভি ছাড়তেই দেখলাম দক্ষিণ আফ্রিকা তিন উইকেট হারিয়েছে। আমি কী মিস করলাম তাহলে?’
শচীনের এমন বিস্ময়ের পরও অবশ্য ভারত আছে সুবিধাজনক অবস্থানেই। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস হার এড়াতে আরও চাই ৩৬ রান, হাতে সাত উইকেট।