ডাচদের উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু পাকিস্তানের
১৯৯২ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তির আশা নিয়ে ভারতে পা রেখেছে পাকিস্তান। তবে প্রথম ম্যাচেই যদি পুঁচকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হোঁচট খেয়ে যেত দল, তাহলে সে স্বপ্ন যে জোর একটা ধাক্কাই খেয়ে বসত! ডাচরা তেমন কিছুর চোখরাঙানি দিয়েই বসেছিল বাবর আজমের দলকে। তবে সেটা একটা দল হয়েই সামলে নিয়েছে পাকিস্তান। তাতেই ধরা দিয়েছে ৮১ রানের অনায়াস জয়, সঙ্গে বিশ্বকাপে শুভসূচনাটাও সেরে ফেলল দলটা।
দল হয়ে লড়ে যাওয়া, এই বিষয়টাই যেন আলাদা করে দিয়েছে দুটো দলকে। পাকিস্তানের পরিস্থিতিটা দেখুন, ৩৮ রান তুলতেই চলে গিয়েছিল ৩ উইকেট। ওপেনার ফখর জামান, বাবর আজম, আর ইমাম উল হককে খুইয়ে বসেছিল শুরুতেই।
তবে সেখান থেকে দলটা তুলে ফেলল ২৮৬ রানের পুঁজি, সেটা তো দল হয়ে খেলেই! মোহাম্মদ রিজওয়ান আর সাউদ শাকিলের দুটো ৬৮ রানের ইনিংসে ধাক্কাটা সামলেছে পাকিস্তান। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজের ৩৯ আর শাদাব খানের ৩২ রানের দুটো ক্যামিও পারফর্ম্যান্স, সঙ্গে শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের ১৩ ও ১৬ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান পেয়ে যায় লড়াকু পুঁজি।
লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় নয়। তবে ডাচদের মতো দল, যারা বড় মঞ্চে অনভিজ্ঞ বেশ, তাদের জন্য কাজটা কঠিনই ছিল। তবে সেটা সহজই মনে হচ্ছিল বিক্রম সিংয়ের ব্যাটে। ৫০ রানের মাথায় দুটো উইকেট খোয়ালেও তার আর বাস ডি লিডার জুটি ডাচদের দেখাচ্ছিল অঘটনের স্বপ্ন। তবে দলীয় ১২০ রানে বিক্রম ৫২ রান করে ফিরলে সে স্বপ্ন বড় ধাক্কা খায়। সেটা আর কাটিয়ে ওঠা হয়নি নেদারল্যান্ডসের। বল হাতে দারুণ সময় কাটানো লিডা ব্যাট হাতেও দারুণ ছিলেন, কিন্তু ওপাশে তিনি দেখেছেন একের পর এক সঙ্গীর আসা যাওয়া, তার ৬৭ রানের ইনিংসটা তাই হারের ব্যবধানই কমিয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ইনিংস যখন শেষ হলো ২০৫ রানে, তখনো ইনিংসের ৫৪ বল বাকি। টি-টোয়েন্টির যুগে ৫৪ বলে ৮২ তো খুবই সম্ভব; শুধু উইকেটটা থাকলেই...
তবে পাকিস্তান ডাচদের সে সুযোগটা দিলে তবেই না! শুরুটা নড়বড়ে হলেও দল হিসেবে এগিয়ে এসে বাবর আজমরা তুলে নিয়েছেন দারুণ এক জয়। তাতে দলও তুলে নিল সেমিফাইনালের পথের প্রথম পদক্ষেপটা।