বন্ধু ওয়ার্নার অবসরে, আপ্লুত খাজাও দিলেন অবসরের ঘোষণা!

বন্ধু ওয়ার্নার অবসরে, আপ্লুত খাজাও দিলেন অবসরের ঘোষণা!

সিডনি টেস্টের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার বিদায় স্বাভাবিকভাবেই আবেগ আপ্লুত করেছে তার সতীর্থদের। তবে ওয়ার্নারের এই না থাকাটা বোধয় সবচাইতে বেশি ছুঁয়ে গেছে ওপেনিংয়ে তার দীর্ঘ দিনের সঙ্গী ও বাল্য বন্ধু উসমান খাজাকে। দু’দিন আগে ওয়ার্নারকে বিদায় জানাতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আবেগি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। সেই পোস্টের দু’দিন না যেতেই খাজা জানালেন আমিও অবসর নেব!

তাহলে কি ওয়ার্নারের এই বিদায় বলা মানতে পারছেন না খাজা? নামি ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে গত কদিনের ঝড়ে ভেঙে পড়েছেন তিনিও। তাই হুট করেই এমন সিদ্ধান্ত।

না, বিষয়টি আসলে সে রকম নয়। সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মোট দুইবার খেলা বন্ধ রাখতে হয়েছে আলোক স্বল্পতার কারণে। টেস্টে যা হরহামেশায় দেখা যায়। অথচ ফ্লাড লাইটের মৃদু আলোতে ইদানীং ডে-নাইট টেস্ট হচ্ছে। মৃদু আলোতেও যাতে বল দেখতে অসুবিধা না হয় তার জন্য লাল বলের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে পিংক বল। এই পরিস্থিতিতে খাজাকে পেয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তবে কি টেস্টে ম্যাচে আলোক স্বল্পতার সমস্যা দূর করতে পিংক বলকেই বেছে নেওয়া উচিত?

এমন প্রশ্নে খাজার সোজা উত্তর, এমন হলে আমি ক্রিকেটই ছেড়ে দেব। অল্প আলোতে লাল বলে কিছু সমস্যা থাকলেও টেস্টে তিনি লাল বলকেই এগিয়ে রাখছেন।

এ ব্যাপারে খাজা বলেন, ‘এটাই ক্রিকেট, আর এটা ১০০ বছর ধরে চলছে। আইন পরিবর্তিত হয়নি। হালকা আলোতে লাল বল দেখা এখনও খুব কঠিন। যদি না আপনি সূর্যের যথেষ্ট আলো পান। আমি সত্যিই নিশ্চিত নই এই সমস্যা সমাধানে কি করা যেতে পারে।’

লাল বল নিয়ে খাজা বলেন, ‘লাল বল খুব আলাদা। আমি সাদা বল খেলেছি, গোলাপি বল খেলেছি। সব বলই ভিন্ন রকম আচরণ করে। তবে লাল বলের মতো কিছুই প্রতিক্রিয়া দেখায় না। টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য এটাই। আর টেস্ট ক্রিকেট সম্পর্কে আমি যা পছন্দ করি, তা কি গত ১০০ বছরে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। এটি এখনও ব্যাট বনাম বলের খেলা। প্রতিযোগিতা এখনও আছে। উইকেট এখনও খারাপ হয়। তবে দিনশেষে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল দল জয়ী হয়। কাজেই দুর্ভাগ্যবশত যদি বৃষ্টি হয় বা যখন আলো খারাপ থাকে, তখন আপনাকে তা মোকাবেলা করতে হবে।’

সম্পর্কিত খবর