সিডনিতে ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্টে অজিদের বড় জয়
পাকিস্তান সিরিজটা হেরেছে সেই মেলবোর্নেই। এতে তাদের জন্য সিডনি টেস্ট ছিল কেবল মান বাঁচানোর। তবে সেখানেও দলটি পেল না জয়ের দেখা। সিরিজের তিন টেস্টের কোনোটিই পৌঁছাল না পঞ্চম দিনে। সিডনি টেস্টের চতুর্থ দিনে পাকিস্তানের দেওয়া ১৩০ রানের স্বল্প লক্ষ্য অনায়াসেই তুলে নেয় অজিরা। ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ করলো স্বাগতিকরা।
পুরো সিরিজজুড়ে বোলাররা মন্দের ভালো পারফর্ম করলেও ব্যাট হাতে বাবর-মাসুদরা ছিলেন নিষ্প্রভ। তারই ধারাবাহিকতায় সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনের ব্যাটিং ব্যর্থতা জারি ছিল চতুর্থ দিনে। ৭ উইকেটে ৬৭ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষের পর চতুর্থ দিনে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তোলে পাকিস্তান। এতে অজিদের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০ রানের। দলীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সাইম আইয়ুব। অজিদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড, নাথান লায়ন নেন তিনটি।
জবাবে ওপেনার উসমান খাজাকে নিয়ে নিজের বিদায়ী টেস্টে ব্যাট করতে নামেন ডেভিড ওয়ার্নার। সাদা জার্সি গায়ে নিজের শেষ ইনিংসেও ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখান এই বাঁহাতি ব্যাটার।
যদিও স্বল্প রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় অজিরা। প্রথম ওভারের শেষ বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন খাজা। তবে মারনাস লাবুশেনকে নিয়ে পুরোদস্তুর ওয়ানডে মেজাজে সহজ জয়ের পথে এগোন ওয়ার্নার। লাল বলের ক্রিকেটে নিজের শেষ ইনিংসে তুলে নেন ফিফটি। তবে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া হলো না তার। দলীয় ১১৯ রানের মাথায় সাজিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন ওয়ার্নার। এর আগে ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেন ৭৫ বলে ৫৭ রান।
বাকি কাজ অনায়সেই সারেন ৬২ রানে অপরাজিত থাকা লাবুশেন। দলকে সাফল্য এনে নিতে না পারলেও ব্যাট হাতে ৮২ রানের পর বল হাতে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া আমের জামাল পান ম্যাচসেরার পুরস্কার। সিরিজের তিন ম্যাচে ১৯ উইকেট ও ৩৮ রানের ভোর সিরিজসেরার খেতাবটি নিজের করে নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯৬ রানের ৫ উইকেট হারানোর পর রিজওয়ানের ৮৮ এবং জামালের ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে ৩১৩ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। বল হাত ফাইফারে হ্যাটট্রিক করেন কামিন্স। মেলবোর্ন টেস্টে দুই ইনিংসে ফাইফারের পর সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসেও তুলে নেন ৫ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো পেলেও জামেলের পেস তোপে ২৯৯ রানেই গুটিয়ে যায় অজিরা। সেখান দলীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন মারনাস লাবুশেন এবং মিচেল মার্শ করেন ৫৩ রান।
এতে ১৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শান মাসুদের দল। আগের ইনিংসে প্যাট কামিন্সের পর এবার পেস তাণ্ডবে মাতেন জশ হ্যাজলউড। তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সাত উইকেটের মধ্যে একাই নিয়েছেন ৪টি। এর মধ্যে দিনের শেষ ওভারেই নেন তিনটি। চতুর্থ দিনে বাকি কাজ সারেন স্পিনার লায়ন। এতে স্রেফ ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।