পরিসংখ্যানেও অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের দুর্দশার ছাপ পরিষ্কার

  • স্পোর্টস বাংলা রিপোর্ট
  • ০৫:০০ পিএম | ০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

তাসমান সাগরপাড়ে পাকিস্তান শেষ কবে ভালো সময় কাটিয়েছে, তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়ই হয়ে যাচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত সিরিজেও হলো না। তাতে অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের দুর্দশাটা স্রেফ বাড়লই। তবে এই দুর্দশার ছাপটা পড়ে গেছে পরিসংখ্যানেও। 

আজকের এই আট উইকেটের হার অজিদের মাটিতে পাকিস্তানের টানা ১৭তম হার। পাকিস্তান বাদে আর কোনো দলই প্রতিপক্ষের মাটিতে টানা ১০ ম্যাচ হারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টানা ৯ ম্যাচ হারের কীর্তি আছে, সেটা উইন্ডিজের, এই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা ৯ ম্যাচে হেরেছিল ক্যারিবীয়রা। 

এই সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়ে পাকিস্তান আরও এক ‘কীর্তি’ গড়েছে। এ নিয়ে সপ্তম বারের মতো পাকিস্তানকে তিন বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ করল অস্ট্রেলিয়া। যার ছয়টিই নিজেদের মাটিতে, শেষ পাঁচটি এসেছে ১৯৯৯ সালের পর থেকে। একটা নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষকে এত বেশি বার হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড আর কোনো দলেরই নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডটা ইংল্যান্ডের, নিউজিল্যান্ডকে ৫ বার হোয়াইটওয়াশ করেছে ইংলিশরা, ভারতকে ৪ বার। এদিকে অজিরা ইংল্যান্ডকে তিন বা তার বেশি ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে ৪ বার। 

এমন দুঃসহ সিরিজেও পাকিস্তানের প্রাপ্তি আছে কিছু। আমির জামাল চতুর্থ পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে এক টেস্টে সব মিলিয়ে ১০০ রান আর ৫ উইকেট তুলে নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। এর আগে ওয়াসিম আকরামের এই কীর্তি ছিল, তাও আবার এই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই। ইমরান খান আর মুশতাক মুহাম্মদের এই কীর্তি ছিল দুই বার করে।

এই টেস্ট ম্যাচের নামেও কিছু রেকর্ড যোগ হয়ে গেছে। সিডনি টেস্টে তিন তিনটে ওপেনিং জুটি ভেঙে গেছে কোনো রান করার আগেই। টেস্ট ইতিহাসে এমন কিছু হলো দ্বিতীয় বারের মতো। প্রথমবার হয়েছিল প্রায় ৭৫ বছর আগে। ১৯৫০ সালে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে তিন ইনিংসে প্রথম উইকেট চলে গিয়েছিল ০ রানেই।

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :