খাজা বনাম আইসিসির লড়াইয়ে জয়ী কে?

খাজা বনাম আইসিসির লড়াইয়ে জয়ী কে?

না, পারলেন না খাজা। আরও একবার হেরে গেলেন আইসিসির কাছে। ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে কালো বহুবান্ধনী পরে মাঠে নেমেছিলেন; তাতে বাধ সেধেছিল আইসিসি। সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে আপিল করেও কোনো কাজ হলো না খাজার। হেরে গেলেন আরও একবার। তাকে জানানো হয়েছে তার আবেদন আমলে নেয়নি আইসিসি।

সত্যিই কি হেরেছেন খাজা। গাজায় ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত হয়ে পড়ে থাকা অসহায় নিপীড়িত মানুষের জন্য আইসিসির চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে যেই লড়াই তিনি করেছেন তার কি হার আছে? তিনি যে জীবন যুদ্ধে জয়ী। যে নিয়মের খাতিরে সিদ্ধান্ত মেনে নেই বটে; তবে ঠিকই জানান দেয় তার অস্থিত্ব।

খাজাও তেমনি। আইসিসির শত বাধা, চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেও লড়াই করে গেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। কি নির্মম বর্বরতা চলছে গাজায় শিশু, বৃদ্ধ সব বয়সী নারী-পুরুষদের ওপর। অথচ নীরব মানবাধিকারের নামে বড় বড় কথা বলা এতএত সব সংগঠন।

আর এখানটাতেই জয়ী খাজা। বিশ্বকে জানাতে কি করেননি তিনি। প্রথমে জুতোয় মানবতার কথা ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার’ ও ‘সবার জীবনই গুরুত্বপূর্ণ’ লিখে অনুশীলন করেছেন। আইসিসিকে জানিয়েছেন আমি এই জুতো জোড়া পরে মাঠে নামতে চাই। তবে সেই অনুমতি পাননি খাজা। এরপর নেমেছিলেন কালো বহুবান্ধনী পরে। সেখানেও পান আইসিসির বাধা। শাস্তি স্বরূপ করা হয় ভর্ৎসনা।

থেমে যাননি খাজা; শেষটাই শান্তির প্রতীক পায়রা ও মানবাধিকারের কথা জুতায় লিখেন। ফের বাধা পেলে হাঁটেন অভিনব এক পথে। নিজের দুই মেয়ের নাম লিখে জানান তার মেয়ের মতো অসংখ্য শিশুরা প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ফিলিস্তিনে। আসুন এদের হয়ে কথা বলি। রুখে দেয় দুনিয়ার সকল অন্যায়। নিশ্চিত করি যেন আর একটি প্রাণও ঝড়ে না পড়ে। এমন এক লড়াকু যোদ্ধাকে কে হারাবে বলুন তো?

সম্পর্কিত খবর