নেতৃত্ব নিয়ে ভাবছেন না সাকিব, চোখ শিরোপায়
‘প্রস্তুতিতে ঘাটতি কিংবা চোট নিয়ে খেললে, আপনি আপনার দলকে ঠকাচ্ছেন’- কথাটা সাকিব আল হাসানের। অর্থাৎ যেকোনো ম্যাচের আগেই প্রস্তুতিটা হওয়া চাই যথার্থ। ক্রিকেটের এই সহজ ব্যাকরণই তাকে করেছে বিশ্বসেরা। সেই সাকিব যে আর যাই হোক প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখবেন না এটা হলফ করেই বলা যায়।
সেই প্রমাণ মিলেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের প্রচারণার কঠিন ব্যস্ততায়ও। অজুহাত না দিয়ে ঠিকই সময় বের করে ঘাম ঝরিয়েছেন। নিজেকে ম্যাচ খেলার উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনী কার্যক্রম শেষে জয়ের হাসি নিয়ে সেদিন মধ্য রাতেই ঢাকায় ফিরেছেন। এরপর পরদিন সাকিব ছুটে গিয়েছেন মিরপুরে। নেমেছেন ক্রিকেটে ফেরার লড়াইয়ে।
আর আজ আসন্ন বিপিএল সামনে রেখে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে নিজের দলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো অনুশীলন করেছেন সাকিব। যেখানে বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো ব্যাট হাতে দেখা গেছে তাকে। যদিও বল করতে দেখা যায়নি এই তারকা অলরাউন্ডারকে। তার কারণ অবশ্য আছে, আঙুলে পাওয়া চোট এখনও পুরোপুরি সারিয়ে উঠতে পারেননি সাকিব।
যা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘প্রায় আড়াই মাসের মতো মাঠের বাইরে ছিলাম। ফিটনেস ও স্কিলের কাজ করতে পারিনি। তাই রেডি হওয়ার জন্য সময় তো লাগবেই। সেই কারণেই সময় নষ্ট করতে চাইনি। সবে অনুশীলন শুরু করেছি, আঙুলে চোট থাকায় বোলিং করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে ব্যাটিংয়ে উন্নতি হচ্ছে।’
গতবার বিপিএলে বরিশালের হয়ে খেলেছেন সাকিব। এবার সেই দলটা বদলে হয়েছে রংপুর। অবশ্য তাতে লক্ষ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি সাকিবের। দলকে করতে চান চ্যাম্পিয়ন। ‘রংপুর কখনোই শিরোপা ছাড়া ভিন্ন চিন্তা করে না। তারা প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল সাজায়। আমার মনে হয় এই দলটা বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
গত মৌসুমে রংপুরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। এ মৌসুমেও দলটিতে আছেন তিনি। নতুন করে সাকিব আসায় দলটিকে নেতৃত্ব দেবে কে? সে প্রশ্নও ছিল সাকিবের কাছে। উত্তর সাকিব বলেন, ‘এটা রংপুর রাইডার্স সিদ্ধান্ত। আমার মতামতের ওপর কিছু নির্ভর করে না। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে সবসময় মালিকদের ওপর নির্ভর করে, তারা কাকে চায়, কীভাবে চায়। সেভাবেই সব কিছু পরিকল্পনা করে।’