এমপি সাকিব-মাশরাফিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ভাবনা বিসিবির
সাকিব আল হাসান আর মাশরাফি বিন মুর্তজার নির্বাচন শেষ, এখন দুজনেই মনোযোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। তবে রাজনীতির মাঠে উপস্থিতিটা রাখতেই হচ্ছে। গতকালই যেমন দুজনে সংসদ সদস্যের শপথ নিলেন।
মাশরাফি আগেও এই দায়িত্ব পালন করেছেন। সাকিব এই অঙ্গনে নতুন। তবে প্রথম বারেই বাজিমাত করেছেন, তুলে নিয়েছেন বিশাল এক জয়। সাকিব এর পরদিনই চলে এসেছেন মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। সংবর্ধনা নেওয়ার সময় যে নেই, বিপিএল দুয়ারে কড়া নাড়ছে! সাকিব সে সংবর্ধনাটা পেতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে।
এ বিষয়ে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। তার কথা, ‘আমরা এখনও (সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যাপারে) চিন্তাভাবনা করিনি। হয়তো সামনে যে বোর্ড সভা আছে, তখনই... অবশ্যই তাদের (মাশরাফি ও সাকিব) সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ভাবনায় আছে। তবে কিভাবে কী করব, সেটা এখনই বলতে পারছি না।’
দুজনের এই রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্তটাকে ‘খুব ভালো’ বলছেন জালাল। তার কথা, ‘আমরা দুজনকেই স্বাগত জানাই। এখন হয়তো তাদের খেলা আছে। তবে একটা পর্যায়ে তারা খেলা ছেড়ে দেবে। সাকিবও হয়তো কয়েক বছরের মধ্যে খেলা ছেড়ে দেবে। তখন আমার মনে হয়, তারা পূর্ণ সময় দিয়ে নিজের এলাকার জন্য, দেশের জন্য কাজ করবে এবং ভালোই করবে। আমার মনে হয়, তারা এই সিদ্ধান্ত যে নিয়েছে, খুব ভালো সিদ্ধান্ত।’
মাশরাফির নির্বাচনী এলাকা নড়াইল-২। সে আসনে তিনি ভালোই কাজ করেছেন বলে মনে হচ্ছে জালালের। মাশরাফির ভূয়সী প্রশংসাও করলেন তিনি। বললেন, ‘মাশরাফি পাঁচ বছরের একটা মেয়াদ শেষ করেছে এরই মধ্যে। তারপর আবার নতুনভাবে আরেক মেয়াদে এমপি হয়েছে। মাশরাফির মধ্যে আগে থেকেই একটা নেতৃত্বগুণ ছিল এবং সে তার এলাকায় ভালো করছিল। এটা অবশ্যই আনন্দের খবর যে ক্রিকেটের একজন ব্যক্তিত্ব জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নিজের এলাকায় ভালো কাজ করছে। এতে অবশ্যই আমরাও আনন্দিত।’
তিনি এবার একই রকম কাজ সাকিবের কাছ থেকেও আশা করছেন। বললেন, ‘এবার সাকিব এমপি হয়েছে। সাকিবও অনেক পেশাদার ও প্রতিভাবান ক্রিকেটার। তার দায়িত্ব সে ভালোই বোঝে। আমি তাদের (নির্বাচনী প্রচারণা) দেখছিলাম। তার কথাবার্তা, গণমানুষের সঙ্গে সংযোগ দেখছিলাম। সে যেভাবে ক্রমেই উন্নতি করেছে, সব ভালোভাবে সামলে নিয়েছে... এখানে সাকিব সফল হবে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেও নিজের এলাকায় সফল বলে মনে করি।’