১৫ ফেব্রুয়ারির আগে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবে শ্রীলঙ্কা!

১৫ ফেব্রুয়ারির আগে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবে শ্রীলঙ্কা!

ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে শ্রীলঙ্কার সদস্যপদ স্থগিত করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। গত নভেম্বরে তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানালেও পরে শাস্তির বিষয়টিকে শিথিল করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে শিগগিরই সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী দেশটির বর্তমান ক্রীড়ামন্ত্রি হারিন ফার্নান্দো।

সদস্যপদ স্থগিত হওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং সব আইসিসি প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাসনে যাওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু নভেম্বরের শেষদিকে আইসিসির বোর্ডসভায় জানানো হয়, সদস্যপদ স্থগিত হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারবে লঙ্কানরা, অংশ নিতে পারবে আইসিসি প্রতিযোগিতাতেও। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা নিষেধাজ্ঞার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায়। এছাড়া সদস্যপদ স্থগিত হওয়ার ফলে আইসিসি থেকে শ্রীলঙ্কা যে তহবিল পায়, সেটা ছাড়ের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

তবে শ্রীলঙ্কায় সফররত আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইসের সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রি হারিন এবং প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সাক্ষাতের পর নতুন আশার কিরণ দেখতে পাচ্ছে লঙ্কানরা। কলম্বোয় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ক্রীড়ামন্ত্রি জানান, আইসিসির সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশার কথাও জানান তিনি।

আইসিসি প্রতিনিধিদল শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় দেশটির ক্রীড়া সংবিধান সংশোধনের জন্য অনুরোধ করেছেন বলেও জানান ক্রীড়ামন্ত্রি। আইসিসির কোড অব এথিকসের সঙ্গে সংবিধান যেন সাংঘর্ষিক না হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে লঙ্কান সরকারের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার শ্রীলঙ্কার বোর্ডে বড় রদবদল আনার চেষ্টা করে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সে সময় আইসিসির সরকারি বা আদালতের হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার সদস্যপদ স্থগিত করে আইসিসি।

সম্পর্কিত খবর