চলতি বছরই বিসিবির দায়িত্ব ছাড়ছেন নাজমুল
বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার কথা বললেন ফের নাজমুল হাসান পাপন। বঙ্গভবনে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের আগে নিজের এই ইচ্ছের কথা পুর্নব্যক্ত করেন তিনি। কিশোরগঞ্জ-৬ থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। নতুন মন্ত্রীসভায় যোগদানের জন্য ১০ জানুয়ারি তিনি ফোন পান।
বিসিবি ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সেক্টরে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা নাজমুল হাসান পাপন এই প্রথমবারের মতো সরকারি সেক্টরে দায়িত্ব নিয়েছেন। নতুন এই দায়িত্ব প্রসঙ্গে পাপন তার তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া বলেন,- ‘ভালো লাগছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন, সেজন্য ভালো লাগছে। চেষ্টা করবো এই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে। যদিও আমার জন্য এটা হবে পুরো নতুন একটা অভিজ্ঞতা। আমি সবসময় প্রাইভেট সেক্টরে ছিলাম। আর এই দায়িত্ব আমার জন্য হবে একেবারে নতুন। ভিন্ন কিছু। পাবলিক সেক্টরে আমার সম্পৃক্ততা একেবারে মিনিমাম। সেজন্য দায়িত্বটা আগে বুঝতে হবে। প্রথমে কাজটা বোঝার চেষ্টা করবো। এখন পুরো দুস্তর হোমওয়ার্ক করা ছাড়া থেকে কোনো মন্তব্য করাটা কঠিন। তবে আমি চেষ্টা করবো সেরাটা দিতে।’
লম্বা সময় ধরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাজমুল হাসান পাপন। সবমিলিয়ে এই পদে গত ১৪ বছর ধরে আছেন তিনি। বেশ কয়েকবার এই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নিজের সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন তিনি। এখন মন্ত্রী হওয়ার পর তার কাজের পরিধি আরো বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বিসিবি পরিচালনাও তার জন্য বাড়তি চাপ হয়ে যাবে কিনা।
সেই প্রসঙ্গে নাজমুল বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে এই মন্ত্রী পাওয়া নিয়ে বিসিবি ছাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের এখানেও আগে অনেকে মন্ত্রী ছিলেন যারা একই সঙ্গে বিসিবির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। বিদেশেও এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। তবে সেটা কোনো ইস্যু না। আমার অনেক আগে থেকে একটা ইচ্ছে ছিল বিসিবি সভাপতি হিসেবে এবারই আমার শেষ মেয়াদ। এই মেয়াদ শেষ হবে সামনের বছর। আমি চেষ্টা করবো এটা এই বছরই শেষ করা যায় কিনা। আইসিসির আবার কিছু নিয়ম কানুন আছে।
আইসিসির বেশকিছু কমিটিতে আমি আছি, চেয়ারম্যান হিসেবেও আছি। ওরা আবার এটা নির্ধারিত মেয়াদের আগে বদল করে না। দেখি কি করা যায়। তবে আবার বলছি, সামনের বছর তো এমনই করতাম, দেখি এই বছরের মধ্যেই শেষ (বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব) করা যায় কিনা?’