হাসরাঙ্গার ৬ মাসের অপেক্ষার শেষ ৭-এর ইতিহাসে

  • স্পোর্টস বাংলা রিপোর্ট
  • ১১:১০ এএম | ১২ জানুয়ারি, ২০২৪

ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গাকে বিশ্বকাপে ভালোভাবেই মিস করেছে শ্রীলঙ্কা। তিনি থাকলে কী হতে পারত, সে ভাবনাটা হয়তো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলারই যোগাড়যন্তর করে রেখেছিল লঙ্কানরা। তবে ৬ মাসের চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরে হাসরাঙ্গা যা করলেন, তাতে আফসোসটা লঙ্কানদের আরও বেড়েই যাওয়ার কথা। মাঠে নেমেই যে হাসরাঙ্গা তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট, তাও মাত্র ১৯ রানে! তাতে ইতিহাসের পাতায়ও জায়গা করে নিয়েছেন লঙ্কান এই স্পিনার।

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ছিটকে পড়েছিলেন তিনি। এরপর এশিয়া কাপ খেলা হয়নি, চোট আবারও ফিরে এলে খেলতে পারেননি বিশ্বকাপেও। ফিরলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে। তৃতীয় ম্যাচে নেমেই করলেন বাজিমাত।

বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় ওয়ানডেতে শুরুটা ভালোই করেছিল লঙ্কানরা। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮ ওভারে তুলে ফেলেছিল ৪১ রান। এরপরই হাসরাঙ্গা-জাদু দেখে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। ৪৩ রানে প্রথম উইকেট খোয়ানো সফরকারীরা চোখের পলকে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে ৪৮ রান তুলতে। তার সবকটি উইকেটই নিয়েছেন হাসরাঙ্গা।

পরে আরও তিন উইকেট নিয়েছেন। জিম্বাবুয়ের শেষ ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানিকে যখন এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেন, তখন তার বোলিং বিশ্লেষণটা দাঁড়ায় ৫.৫-১-১৯-৭। এই বোলিং ফিগার ওয়ানডের সেরা বোলিংয়ের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও চলে এসেছে। তালিকায় এর অবস্থান পাঁচে।

ওয়ানডের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা ২২ বছর ধরে দখলে রেখেছেন চামিন্ডা ভাস। ২০০১ সালে কলম্বোয় এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তিনি নিয়েছিলেন ১৯ রানে ৮ উইকেট। ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত এক ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার তারই। এরপর উইন্ডিজের বিপক্ষে শহীদ আফ্রিদির ১২ রানে ৭ উইকেট আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। ২০০৩ বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিপক্ষে গ্লেন ম্যাকগ্রার ১৫ রানে ৭ উইকেট আছে তিনে, বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সেরা বোলিং হয়ে আছে এটাই। ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রশিদ খানের ১৮ রানে ৭ উইকেট আছে তালিকার চারে। এরপরই হাসরাঙ্গার এই বোলিং জায়গা করে নিয়েছে তালিকায়।

তার এমন দাপটের দিনে শ্রীলঙ্কাও পেয়েছে বিশাল জয়। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ৯৭ রানে লক্ষ্য লঙ্কানরা টপকে গেছে ২০০ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে। 

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :