ফিরেই রঙিন উইলিয়ামসন, নেতৃত্বের অভিষেকেই রেকর্ড শাহিনের
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় শাহিন শাহ আফ্রিদির। তবে সেটা রাঙাতে পারেননি তারকা এই পেসার। দলের ৪৬ রানের বড় পরাজয়ের সঙ্গে বল হাতে খরুচের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। অন্যদিকে ৪১৭ দিন পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। দারুণ নেতৃত্বে দলকে ১-০ তে এগিয়ে নিয়েছেন পাঁচ ম্যাচের সিরিজে।
অকল্যান্ডে প্রথমে ব্যাট করতে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। পাকিস্তান অধিনায়কের বলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। পরে অবশ্য সেই ধাক্কা ফিন অ্যালেনকে নিয়ে ভালোভাবেই সামলে নেন উইলিয়ামসন। অ্যালেন চালিয়ে খেলে ১৫ বলে ৩৪ রান করে ফিরলেও উইলিয়ামসন ছিলেন ধীর স্থির। ৪১৭ দিন পর ফিরলেও চাপ নেননি তিনি। তুলে নেন ফিফটি।
এরপর ৪২ বলে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফিরলেও কিউইদের বড় রানের ভিত গড়ে দিয়ে যান। ড্যারেল মিচেল এসে তাণ্ডব চালান। শেষদিকে কিউইদের বাকিরাও তাকে অনুসরণ করে। তাতে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ২২৬ রান জমা হয় কিউইদের। যেখানে ২৭ বলে ৬১ রান করেন মিচেল। ১১ বলে চ্যাপম্যান করেন ২৬ রান।
পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আব্বাস আফ্রিদি ও শাহিন আফ্রিদি। অবশ্য বোলিংয়ে শাহিনের এক ওভারে ২৪ রান তুলেছেন ফিন অ্যালেন। যা টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত তার সবচেয়ে খরুচে বোলিং।
জবাবে পাকিস্তানকে ঝড়ো শুরু এনে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইয় আইয়ুব। ৮ বলে ২৭ রান করে তিনি ফেরার পর রানে কিছুটা লাগাম টানে কিউইরা। অবশ্য শুরুতে সময় নিলেও পরে রানের চাকা সচল করে দলকে ম্যাচে রেখেছিলেন বাবার আজম। দলকে টেনেছেন লম্বা সময়। তবে বাকিদের কাছ থেকে সেই অর্থে সাপোর্ট পাননি তিনি।
রানের পাহাড় ডিঙাতে যেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে হতো পাকিস্তানকে সেটা পেরে উঠেনি দলটির ব্যাটাররা। যার ফলে শেষ দিকে রানের ব্যবধান বাড়লে চালিয়ে খেলতে গিয়ে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ১৮০ রানে। নিশ্চিত হয় ৪৬ রানের বড় হার। যেখানে একাই ৪ উইকেট তুলেছেন টিম সাউদি।