বোর্ড পরিচালক ছাড়া বিসিবি সভাপতি না, সাকিব-মাশরাফি অপেক্ষায় থাকুন...
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে গতকাল শপথ বাক্য পাঠ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন আলোচনার হট কেক; কে হচ্ছেন বিসিবির সভাপতি। পাপন নিজেই কি একই সঙ্গে দুটি দায়িত্ব পালন করবেন? না তার জায়গায় দেখা যাবে নতুন কাউকে; আলোচনা আছে সেটি নিয়েও। যা নিয়েই আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির এই প্রধান।
একই সঙ্গে দুটি দায়িত্ব পালনে আইনি কোনো বাধা নেই। স্বাভাবিকভাবেই তাই তাড়াহুড়ো করতে চান না পাপন। তবে দ্রুতই ছাড়তে চান বিসিবির দায়িত্ব। অবশ্য সেক্ষেত্রে অবলম্বন করতে চান যথেষ্ট সতর্কতা। কেননা, বোর্ডের ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করছে এমন মনে হলেই সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। যার সবশেষ উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন পাপন।
বলেন, ‘একই সঙ্গে দুটি আলাদা দায়িত্ব থাকলেও আইনে কোনো সমস্যা নেই। তবে একসঙ্গে যদি দুটোতে থাকি তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে আমি ক্রিকেটের প্রতি দৃষ্টিটা একটু বেশি দিচ্ছি। তাই দ্রুতই দায়িত্ব ছাড়ার ব্যাপারে পরিকল্পনা আছে।’
দায়িত্ব দ্রুত ছাড়তে চাইলেও এ নিয়ে তাড়াহুড়া করতে চান না বিসিবি প্রধান, ‘এখানে বেসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে, ইচ্ছা করলেই বোর্ডের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া যায় না। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে দেখেছি। তারা প্রায় দুই বছর নিষিদ্ধ ছিল, শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তাই দেখেছি। তাই এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। তবে একটা অপশন ওদের সাথে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) ফুল মেয়াদ। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ।’
অনেকেই ধরে নিয়েছেন নাজমুল হাসানের পাপনের পর নতুন বিসিবি প্রধান হতে চলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কেউ কেউ বা আবার সাকিব আল হাসানকেও বিবেচনা করছেন এই পদের জন্য। তবে সেটি যে আপাতত সম্ভব নয় সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন পাপন। তাই নতুন করে কে হতে পারেন বোর্ড প্রধান সেটি নিয়েও কথা বলেছেন বিসিবির এই প্রধান।
পাপন বলেন, ‘আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে আমার। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবেন। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।’