ফখর-বাবরের ফিফটির পরও পাকিস্তানের হার
দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে দুই’শোর নিচেই আটকে রাখতে পেরেছিল পাকিস্তান। তবে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। আগের ম্যাচে ঝড়ো ইনিংস খেলা সিয়াম আইয়ুব ও মোহাম্মদ রিজওয়ান দু’জনেই ফিরেছেন দলীয় ১০ রানের আগে। এমন শুরুর পর দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন ফখর জামান ও বাবর আজম।
দু’জনেই ব্যাট হাতে শাসন করছিলেন স্বাগতিক বোলারদের। তুলেছিলেন ফিফটিও। দেখিয়েছিলেন জয়ের স্বপ্ন। তবে শেষ পর্যন্ত হারতেই হয়েছে তাদের। মাঝের দিকে ব্যাটারদের ব্যর্থতা ও শেষ দিকে বলের সঙ্গে রানের ব্যবধানটা অনেক বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানকে ম্যাচ হারতে হয়েছে ২১ রানে।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে এদিন অবশ্য দারুণ শুরু পেয়েছিল কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ২০ রানে ফিরলেও দলকে লম্বা সময় টেনেছেন ফিন অ্যালেন। মাঝে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ১৫ বলে ২৬ রান করা কেন উইলিয়ামসনকে। যাতে শঙ্কায় পড়ে গেছে তার বাকি ম্যাচগুলোতে খেলাও। এরপর অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি বাকি ব্যাটাররা। শেষদিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৮ উইকেট খরচায় ১৯৪ রানে থামতে হয়েছে কিউইদের। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ বলে ৭৪ রান করেন অ্যালেন।
হ্যামিলটনের ব্যাটিং বান্দব উইকেটে এই রান টপকানো খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না পাকিস্তানের। তবে এদিন শুরুতেই হতাশ করেছেন দলটির দুই ওপেনার। পরে অবশ্য দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাবর ও ফখর। দু’জনেই তাণ্ডব চালিয়েছেন কিউই বোলারদের ওপর। তবে ২৫ বলে ৫০ করে ফখর ফিরলে রানে গতি কমে পাকিস্তানের। থিতু হতে পারেননি দলের বাকি ব্যাটাররা। শেষদিকে অধিনায়ক শাহিনকে নিয়ে কিছুটা লড়াই করেছিলেন বাবর। তবে শেষ পর্যন্ত তা কেবল হারের ব্যাবধানই কমিয়েছে। পাকিস্তানের ইনিংস থেমেছে ১৭৩ রানে। পাকিস্তানের হয়ে ৪৩ বলে ৬৬ রান আসে বাবরের ব্যাট থেকে। কিউই বোলারদের মধ্যে ৩৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিলনে।
এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে লিড নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সিরিজ বাঁচাতে তৃতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ১৭ জানুয়ারি ডানেডিনে।