সিরিজ জেতায় তৃপ্ত রোহিত মুগ্ধ জয়সওয়াল-দুবের ব্যাটে
আগের ম্যাচে ৪০ বলে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়েছেন শিবম দুবে। এ ম্যাচে যেন আরও পরিণত তার ব্যাট। আফগানদের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলেছেন ৩২ বলে ৬৩ রানের হার না মানা এক ইনিংস। দলকে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজটাও জিতিয়েছেন। তাও ২৬ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে। এদিন তার মতোই ব্যাট হাতে আগ্রাসী ছিলেন দ্বিতীয় ম্যাচে শুভমান গিলের জায়গায় সুযোগ পাওয়া যশস্বী জয়সওয়াল। ৩৪ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচ শেষে যার প্রশংসা করতে ভুলেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ইন্দোরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭২ রান জমা করে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৫৭ রান আসে গুলবাদিন নাইবের ব্যাট থেকে। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন আরশদ্বীপ সিং। তবে বল হাতে সবচেয়ে ইকোনোমিকাল ছিলেন অক্ষর প্যাটেল। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যা তাকে করেছে ম্যাচসেরা।
আগের ম্যাচে সুযোগ না পেলেও এ ম্যাচে সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগিয়েছেন জয়সওয়াল। অধিনায়ক রোহিত শর্মা এদিন ১৫০ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন। তবে ব্যাট হাতে রানের দেখা পাননি। তাকে ফিরতে হয়েছে শূন্য রানে। এরপর অবশ্য বিরাট কোহলি এসে সঙ্গ দেয় জয়সওয়ালকে। কোহলি ১৬ বলে ২৯ রান করে ফিরলেও দলকে জয়ের পথে টানেন শিবম দুবে ও জয়সওয়াল। ম্যাচটা প্রায় হাতে মুঠোয় নিয়ে আসার পর ফিরতে হয় জয়সওয়ালকে। ফেরার আগে ৩৪ বলে ৬ ছক্কা ও ৫ চারে করেন ৬৮ রান। মাঝে জিতেশ শর্মা রান না পেলেও রিংকু সিং সঙ্গ দেন দুবেকে। অন্যপ্রান্তে দলকে জেতান দুবে। জয়ের পথে খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস। যা সাজানো ছিল ৪টি ছয় ও ৫ টি চারে।
এমন দিনে অধিনায়কের প্রশংসায় ভেসেছেন জয়সওয়াল ও দুবে। একই সঙ্গে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১৫০ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের রেকর্ড গড়ার অনুভূতির কথাও জানিয়েছেন রোহিত, ‘১৫০টি ম্যাচ খেলা একটি দুর্দান্ত অনুভূতি। এটি একটি দীর্ঘ যাত্রা, ২০০৭ সালে যা শুরু হয়েছিল। যখন আপনি এরকম পারফরম্যান্স দেখেন, তখন আপনি এটি নিয়ে গর্ব বোধ করতে পারেন। জয়সওয়াল টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে। সে সুযোগের পুরো সদ্ব্যবহার করছে। এবং দুবেও-নিজের সক্ষমতা দেখিয়েছে সে স্পিনারদের বিপক্ষে কি করতে পারে। আমরাও তাকে সেটা করতে বলেছি। সে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খেলেছে আমাদের জন্য।’