ভারতের ক্রিকেটে ‘নতুন’ মোহাম্মদ কাইফ

ভারতের ক্রিকেটে ‘নতুন’ মোহাম্মদ কাইফ

মোহাম্মদ কাইফ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা স্রেফ ৭ বছরের হলেও ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটারকে এখনো মনে রেখেছেন অনেকেই। তার হাত ধরেই দলের ফিল্ডিংয়ে এসেছিল দারুণ পরিবর্তন। যেখান থেকে ভারত এখন ফিল্ডিং বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম দল। তবে ব্যাটিংয়েও অবদানটা যে একবারেই ছিল না, এমনটা না। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে তার ৭৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংসেই এসেছিল জয়। সেটির উদযাপনেই লর্ডসের বারান্দায় জার্সি খুলে উড়িয়েছিলেন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী, যা এককথায় ক্রিকেট বিশ্বের ‘আইকনিক’ এক মুহূর্ত।

তার ২২ বছর পর আরও এক মোহাম্মদ কাইফের দেখা মিলল ভারতের ক্রিকেটে। যদিও পরিচয় খুঁজতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না কাউকে। তিনি ভারতের বর্তমান দলের অন্যতম পেসার মোহাম্মদ শামির ছোট ভাই। বড় ভাইয়ের মতোই ডানহাতি পেসার ২৪ বছর বয়সী এই কাইফ।

নিজ এলাকা ভারতের উত্তর প্রদেশ হলেও বড় ভাইয়ের মতো কাইফের ক্রিকেটীয় জার্নিটাও শুরু হলো বাংলার দল থেকে।

তিনি বর্তমানে খেলেছেন রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দলের হয়ে। শামির সঙ্গে অল্প বয়সেই বাংলায় আসেন কাইফ। জায়গা মেলে বয়সভিত্তিক দলে। সেখানে অনূর্ধ্ব-২৩ দলে কাইফ খেলেন সৌরাশিস লাহিড়ীর প্রশিক্ষণে, যিনি বর্তমানে বাংলা দলের সহকারী কোচের দায়িত্বটাও পালন করছেন।

বোলিংয়ে নিজেকে এগোতে চাইলেও ব্যাটিংটাও বেশ ভালো জানেন কাইফ। সম্প্রতির দেশটির গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাইফকে নিয়ে সৌরাশিস বলেন, ‘কাইফ মূলত মিডিয়াম পেসার। তবে ব্যাটিংটাও ভালো করে। সে বুঝতে পারে কোন সময় কোন শট খেলা উচিত। যেটা কাইফকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দেয়।’

বাংলার গত ম্যাচেই অন্ধ্রের বিপক্ষে রঞ্জি অভিষেকে ৩ উইকেট নেন কাইফ। এরপর ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া উত্তর প্রদেশের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এদিকে ব্যাট হাতেও ৪৫ রানের জবাবে জিতছেন ম্যাচসেরার খেতাবও।

সম্পর্কিত খবর