এই আউটফিল্ডের সঙ্গে ‘মানিয়ে নিচ্ছে’ বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে তখন নিজেদের প্রথম ম্যাচটা খেলছে বাংলাদেশ। ওভার কয়েক হয়েও গেছে। তখনই ধারাভাষ্য কক্ষে নাসের হুসেইনরা সরব। স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছিল, তাসকিন আহমেদ যখন বল হাতে ছুটছেন, তার বুটের স্পাইকে উঠে আসা বালু ঝরে যাচ্ছিল সঙ্গে সঙ্গে। চকিতে মনে পড়ে গেল প্রায় ১৫ বছর আগের এক ম্যাচ। ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারিতে যে এমন এক পরিস্থিতিতেই ১০ বল পর বাতিল হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট!
না, বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিশ্বকাপের ম্যাচটা বাতিল হয়নি। শেষ হয়েছে ‘ঠিকঠাক’ ভাবেই। ধর্মশালার ওই মাঠেই সাকিব আল হাসানরা আগামীকাল খেলবেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আউটফিল্ড বিষয়ে কম করে হলেও তিনটি প্রশ্ন ধেয়ে এল স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের দিকে। সেসব অবশ্য সুকৌশলে সামলেছেন লঙ্কান এই কোচ। জানিয়েছেন একটা ম্যাচ খেলে এই মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে দল।
তার কথা, ‘মূলত আমরা দুই দিন বেশ ভালোভাবেই এখানে খেলেছি। তাই আমরা জানি, মাঠের অবস্থা কী। এই অবস্থায় আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের একই মানসিকতা নিয়ে নিজেদের এগিয়ে নিতে হবে।’
এমন মাঠে ফিল্ডিং করাটা কঠিনের চেয়েও বেশি কিছু। আগের ম্যাচে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান সীমানার কাছে ফিল্ডিং করছিলেন যখন, তখন একটা চার বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তখন সেখানের ঘাস সরে গিয়ে মাটি দেখা যাচ্ছিল রীতিমতো। একটুর জন্য এড়িয়েছেন বড় চোট। বিশ্বকাপটা অনেক লম্বা, সে ভাবনায় এমন মাঠে ফিল্ডারদের সামনে কিছু বিধিনিষেধ বেধে দেওয়াটা অমূলক কিছু নয় মোটেও। তবে বাংলাদেশ সে পথে হাঁটছে না।
হেরাথ বললেন, ‘আমরা কাউকে কিছু নিষেধ করছি না। কারণ, আপনারা যদি কাউকে কিছু করতে নিষেধ করেন তাহলে তার কাছ থেকে শতভাগ কিছু পাওয়া যাবে না। আমরা আগের ম্যাচে ভালো খেলেছি। তাই তাদেরকে বলব, এই ম্যাচেও সেরাটা দিতে এবং সেটা এই আউটফিল্ডেই।’
সব মিলিয়ে এই আউটফিল্ড নিয়েও ‘সন্তুষ্টি’ই প্রকাশ করেছেন হেরাথ। তার কথা, ‘আমার ধারনা আইসিসি এটা নিয়ে কাজ করছে। এই অবস্থায় আইসিসির হয়তো মনে হয়েছে তাদের লেভেলে আছে। তাই এখানে ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ দিয়েছে। তাই আমি খুশি।’