রোহিত-রিঙ্কুর বিশ্বরেকর্ড
ভারত তখন রীতিমতো কাঁপছিল। ফরিদ আহমেদের বাঁহাতি পেসে একে একে নেই চারটি উইকেট, স্কোরবোর্ডে রান তখন মাত্র ২২। বিরাট কোহলি ফিরে গেছেন গোল্ডেন ডাক নিয়ে।
পরিস্থিতিটা যখন সমূহ বিপদের আভাস দিচ্ছিল ভারতকে, ঠিক তখনই রোহিত শর্মা আর রিঙ্কু সিং দাঁড়িয়ে গেলেন স্রোতের বিপরীতে। দলকে শুধু বিপদ থেকেই উদ্ধার করলেন না, রীতিমতো গড়ে বসলেন বিশ্বরেকর্ডও।
টি-টোয়েন্টিতে রোহিত শর্মা ফিরেছেন প্রায় দেড় বছর পর। আগের দুই ম্যাচে দুটো শূন্য রানের ইনিংস সে সিদ্ধান্তের সামনে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্নও দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। তবে সব তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য রোহিত বেছে নিলেন এই ম্যাচটাই। দল যখন কাঁপছে, ঠিক তখন ত্রাতা হয়ে এলেন দলের জন্য। গড়লেন রেকর্ড।
ভারতের ইনিংসটাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। শুরুর সাড়ে চার ওভার প্রথম ভাগে, যখন ভারত খুইয়ে বসেছে চার উইকেট। পরের ভাগটা ‘রিবিল্ড’ এর। ১১ ওভারের শেষ পর্যন্ত পরের সাড়ে ছয় ওভারে রিঙ্কুর সঙ্গে মিলে রোহিত তুললেন ওভারপ্রতি ছয়ের কাছাকাছি রান।
তিন নম্বর ভাগে ভারত রীতিমতো প্রলয়নাচন নাচল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। শেষ নয় ওভারে ভারত তুলল গুণে গুণে ১৪৭ রান, ওভারপ্রতি রান গিয়ে ঠেকল ১৬.৩৩ এ।
বলাই বাহুল্য, পরের দুই ভাগে এসে একটা উইকেটও খোয়ায়নি ভারত। যা করেছেন ওই রোহিত-রিঙ্কুই। রোহিতের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ১১৮ রানের, সেটা পেছনে ফেলে আজ করলেন অপরাজিত ১২১। রিঙ্কুও কম গেলেন না, ৩৯ বলে করলেন ৬৯।
দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে গড়লেন অবিচ্ছিন্ন ১৯০ রানের জুটি। গড়ে ফেলেছেন পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির বিশ্বরেকর্ড। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির রেকর্ডটাও গড়া হয়ে যেত; সে রেকর্ডটা গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান আর ইফতিখার আহমেদ মিলে, গত বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে ১৯২ রান তুলেছিলেন পঞ্চম উইকেটে। সে রেকর্ডটা একটুর জন্য আজ ভাঙা হলো না রোহিত-রিঙ্কুর।
তবে যা করেছেন সেটা ভারতকে বিশাল এক পুঁজি এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্টই ছিল। ২২ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে খাদের কিনারে থাকা ভারত তাতে চড়েই তো গড়ে ২১২ রানের পাহাড়সম পুঁজি!