ব্যাটিং ব্যর্থতায় হাত ফসকে গেল ভারত-বধের সুযোগ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় হাত ফসকে গেল ভারত-বধের সুযোগ

বোলাররা কিছুটা হলেও তাদের কাজটা করে রেখেছিলেন। ভারতকে বেধে রাখা গিয়েছিল ২৫১ রানে। এরপরের কাজটা তোলা ছিল ব্যাটারদের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের যুবারা আর তা পারলেন কই? ভারতের বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের টপ অর্ডার। সেটা সামলে আর ম্যাচে ফেরাই গেল না। অলআউট হলো ১৬৭ রানে। শেষমেশ হারতে হলো ৮৪ রানের ব্যবধানে। 

অথচ দিনের শুরুটা কি দারুণই না হয়েছিল বাংলাদেশের! টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। এরপর মারুফ মৃধার পেসের কাছেই পাত্তা পাচ্ছিল না ভারতের টপ অর্ডার। ৩১ রানেই দুই ভারতীয় যুবাকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছিলেন মারুফ। 

ভারত ম্যাচে ফেরে এরপর। আদর্শ সিং আর উদয় সাহারানের ১১৬ রানের জুটি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ফেরায় লড়াইয়ে। চৌধুরী রিজওয়ান আর অধিনায়ক মাহফুজুর মিলে বিদায় করেন দুজনকে। এরপর ছোট ছোট অথচ কার্যকরী ইনিংসে প্রিয়ানশু মলিয়া আরাভেল্লে অবনীশ, আর শচিন দাস দলকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান। তবে তাদের ইনিংসগুলোকে বড় হতে দেননি মারুফ। বড় কিছু করে ফেলার আগেই বিদায় করেন প্রথম দুইজনকে। মারুফ শেষমেশ তুলে নেন ফাইফার। ভারত তাদের ইনিংস শেষ করে ২৫১ রানে। 

এই চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটাও ভালো ছিল বাংলাদেশের। ৩৮ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পরেই যেন বিপাকে পড়ল দল। ৩ রানেই সাজঘরে ফিরলেন শুরুর তিন ব্যাটার। প্রথম উইকেটটা ৩৮ রানের মাথায়, এরপর ৩৯ এবং ৪১ রানের মাথায় তৃতীয়টি। চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ৫০ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন আরেক ব্যাটার।

এরপর সেই সামলে থিতু হওয়ার আভাস দেন আরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ শিহাব জেমস। গড়েন ৭৭ রানের জুটি। তবে পরের ৩০ রান যোগে সাজঘরে ফেরেন আরও তিনজন। এবং সেখানেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় যুবারা। বাকি ব্যাটাররা কেবলই কমিয়েছেন ব্যবধান। সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে থেমেছে তারা। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সৌমি পান্ডে।

সম্পর্কিত খবর