ঢাকার ‘ভেরি ভেরি আনস্মার্ট’ ব্যাটিং, চট্টগ্রামের বড় জয়

ঢাকার ‘ভেরি ভেরি আনস্মার্ট’ ব্যাটিং, চট্টগ্রামের বড় জয়

দুর্দান্ত ঢাকার ব্যাটিংয়ের সময় বেশ কয়েকবার বাজলো গানটা- ‘ঢাকার পোলা... ভেরি ভেরি স্মার্ট!’ কিন্তু ব্যাটিংয়ে মোটেও স্মার্ট কিছু করে দেখাতে পারলো না ঢাকা। থেমে গেল মাত্র ১৩৬ রানে। এত কম সঞ্চয় টি- টোয়েন্টি ম্যাচ জেতার জন্য মোটেও তেমনকিছু নয়। তারপরও বোলিংয়ের শুরুতে ঝাঁপিয়ে নামলেন শরিফুল ইসলাম। আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান এই ম্যাচে শুরুতেই দুই উইকেট তুলে নিলেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে শেষ পর্যন্ত ঢাকা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলো কই? ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল চট্টগ্রাম। তিন ম্যাচে দুই জয় এক হারে পয়েন্টে সবার ওপরে তারা।

চট্টগ্রামের জয়ে ব্যাট হাতে এই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরলেন ওপেনার তানজিদ তামিম। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ এই ওপেনার করলেন ৪০ বলে ৪৯ রান।

ম্যাচ হারার সব কাজ মূলত ঢাকা সেরে আসে বাজে ব্যাটিংয়ে। দলের শুরুর চার ব্যাটসম্যানের সবাই সিঙ্গেল ডিজিটে আউট! ৮ ওভারে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানো ঢাকা কোনো সময় বড় স্কোরের পথে ছিল না। শ্রীলঙ্কান ওপেনার গুনাথিলাকা রির্টায়াড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার পর তার কনকাশান বদলি হিসেবে নামেন আরেক শ্রীলঙ্কান লাসিথ ক্রসপুলে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ক্রসপুলে ও ইরফান সুকুরের ৭৩ রানের জুটিতে ঢাকার স্কোর তিন অঙ্কের কোটা পার করে। ক্রসপুলে ২ ছক্কা ৩ বাউন্ডারিতে ৩১ বলে ৪৬ রানে ফিরে এলে ঢাকার ইনিংস আরেকবার মুখ থুবড়ে পড়ে। দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা তাসকিন আহমেদের ৯ বলে ১৫ রানের সুবাদে ১৩৬ রানে গিয়ে পৌছায় ঢাকার ইনিংস।

মিরপুরের কন্ডিশন পুরোপুরি বোলারদের অনুকূলে থাকলেও এই ম্যাচে ঢাকা যে কায়দায় ব্যাটিং করলো তাতে মাইকের গানটা এমন হলো মানানসই কিছু হতো ঢাকার ব্যাটিং... ভেরি ভেরি আনস্মার্ট!’ দলের একশ রান পুরো হলো ৯৪ বলে। পুরো ইনিংসের ডটবলের সংখ্যা ৫১! বাউন্ডারি হলো মাত্র ১১টি। ছক্কা সাকুল্যে একটি!
এই ব্যাটিং নিয়ে পাসমার্ক মিলে না। ঢাকার বড় হার সেই প্রমাণই রাখল।

বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি। নিউজিল্যান্ড সফরে দলে থাকলেও একটা ম্যাচও খেলার সুযোগ হয়নি। বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচ ভালো কাটেনি। সবমিলিয়ে বড় চাপে ছিলেন তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিম। এই ম্যাচে বড় স্কোরের জন্য মরিয়া মনোভাব দেখা গেল তার। আর সেই লড়াইয়ে ঠিকই জিতলেন এই তরুণ। যেভাবে খেলছিলেন তাতে হাফসেঞ্চুরিটা তার পাওনা ছিল। কিন্তু একটু বেশি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে সেই ল্যান্ডমার্কের খুব কাছে এসে শেষ হলো তার ইনিংস। নিজের শেষ ওভারে তাসকিন তাকে ফেরালেন ৪৯ রানে। ১ ছক্কা ৫ বাউন্ডারিতে ৪০ বল খেলে মাত্র ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিসের দুঃখে আউট হওয়ার পর ব্যাটকে আকাশে ছুঁড়লেন। যেন সব দোষ ঐ ব্যাটের!

অসময়ে তানজিদ তামিমের এই আউট অবশ্য চট্টগ্রামকে বড় কোনো সমস্যায় ফেলেনি। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লাহ জাদরান ও অধিনায়ক শুভাগত হোমের নিরাপদ ব্যাটিং চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিলো।
তখনো ইনিংসের ১০ বল বাকি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দুর্দান্ত ঢাকা: ১৩৬/৯ (২০ ওভারে, ক্রসপুলে ৪৬, ইরফান সুুকুর ২৭, তাসকিন ১৫, আল আমিন ২/১৫, বিলাল খান ২/২৮)।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৩৭/৪ (১৮.২ ওভারে, তানজিদ ৪৯, শাহাদাত ২২, নাজিবুল্লাহ ৩২*, শুভাগত হোম ৭*, শরিফুল ২/৪০)। ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

সম্পর্কিত খবর