বাংলাদেশকে ২৩৫ রানের চ্যালেঞ্জ আয়ারল্যান্ডের

বাংলাদেশকে ২৩৫ রানের চ্যালেঞ্জ আয়ারল্যান্ডের

বল হাতে এদিনও বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করা মারুফ মৃধা। বাকিরাও ছিলেন যথেষ্ট কিপটে। একশর আগে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে আইরিশদের অল্পতে আটকে ফেলার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে দেয় কিয়ান হিল্টন। একপ্রান্ত আগলে রেখে ১১২ বলে ৯০ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি। যার সুবাদে আইরিশদের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে।

এর আগে এদিন টসে জিতে বল কারার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান। প্রথম ম্যাচের মতো বল হাতে এদিন শুরুটা অবশ্য দুর্দান্ত না হলেও আয়ারল্যান্ডকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশি বোলাররা। সেই চাপে ২৬ রানের মাথায় দলটি হারায় ওপেনার রায়ান হান্টারকে। ১৫ বলে ৯ রান করে মারুফের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন হান্টার।

তবে অন্যপ্রান্তে আরেক ওপেনার জর্দান নেইল আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন। গ্যাভিন রোলস্টনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানছিলেন তিনি। তবে ৫ রানে ফিরতে হয় গ্যাভিনকে। এরপর উইকেটে আসলেও থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক লে রোয়াক্স। ৩১ রানে ফিরে যান নেইলও। তবে উইকেটে এসে ম্যাকব্রেথকে নিয়ে জমে যান হিল্টন। দু’জনেই জুটিতেই বড় সংগ্রহের ভিত পায় আইরিশরা।

পথ দেখিয়ে ম্যাকব্রেথ ২৭ রানে ফিরলেও রানের চাকা সহজ রেখেছিলেন হিল্টন। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ম্যাকনেলি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সেঞ্চুরির পথে থাকা হিল্টনও একটা সময় ফিরে যান মারুফের শিকার হয়ে। তার আগে ১১২ বলে ৯০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর বাকিরা খুব একটা সুবিধা করতে না পারলে আড়াইশর আগেই থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মারুফ ও জীবন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন বর্ষণ, রাফি ও রাব্বি।

সম্পর্কিত খবর