রান বন্যার ম্যাচে বরিশালকে হেসেখেলে হারাল খুলনা
চলতি বিপিএলের ষষ্ট ম্যাচে এসে প্রথম রান বন্যা দেখেছে সমর্থকরা। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট খরচায় ফরচুন বরিশাল স্কোরবোর্ডে ১৮৭ রান জমা করলেও সেটা মামুলি টার্গেট বানিয়ে হেসেখেলে জয় তুলেছে খুলনা টাইগার্স। ইভান লুইস ও অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংসে ৮ উইকেট ও ১২ হাতে রেখে জয় পেয়েছে খুলনা। উঠে এসেছে টেবিলের শীর্ষে।
বরিশালের দেওয়া ১৮৮ রানের জবাবে ব্যাট হাতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালিয়েছে খুলনার দুই ওপেনার এনামুল ও লুইস। লুইস ২২ বলে ৫ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৩ রানে সাজঘরে ফিরলেও পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট খরচায় ৮৭ রান জমা করে খুলনা। কাজটা সহজ হয়ে যায় ওখানেই। লুইস ফেরার পর উইকেটে নেমে এনামুলকে যুত সই সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ হোসেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ৪১ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে জয়টা প্রায় হাতের মুঠোই নিয়ে আসেন তিনি।
বাকি পথটুকু শাই হোপকে নিয়ে সহজেই পারি দিয়েছেন এনামুল। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন খুলনার অধিনায়ক। জয়ের পথে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বলে ৬৩ রানে।
এর আগে বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে খুলনার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ে ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবালের পর ব্যাট হাতে খুলনার বোলারদের শাসন করেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। এই তিন জনের ব্যাটে বরিশালের ইনিংস থেমেছে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান।
এদিন প্রথম ম্যাচের মতোই ব্যাট হাতে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তামিম। তার ওপেনিং সঙ্গী ইব্রাহিম জাদরান ১৬ বলে ১১ রান করে ফিরলেও দলকে রানে রেখেছিলেন তামিম। তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকারও ছিলেন আগ্রাসী। ১০ বলে ১৭ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে। এরপর ৩৩ বলে ৪০ রান করে ফিরেন তামিম। তবে তার আগে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
তামিম ফেরার পর দলকে রানে রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান খুলনার বোলাদের ওপর। চতুর্থ উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৫৪ রান। এরপর ১৯ বলে ২৭ রান করে মাহমুদউল্লাহ সাজঘরে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন মুশফিক। দলের ১৮৭ রানের পুঁজিতে ব্যাট হাতে ৩৯ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।