ছোট লক্ষ্যেও ব্যাট হাতে নাজেহাল রংপুর
হার দিয়ে বিপিএল আসর শুরু করা রংপুর রাইডার্স দ্বিতীয় ম্যাচে ১১৯ রানেই আটকে দিয়েছিল সিলেট টাইগার্সকে। সহজ সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি তারাও। ৪৯ রানেই ৬ ব্যাটারকে হারিয়ে তারা। আশার প্রদীপ হয়ে মাঠে আছেন বাবর আজম।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রংপুরের সংগ্রহ ৯ ওভার শেষে ৬ উইকেট খরচায় ৫১রান। উইকেটে আছেন বাবর আজম। তাকে সঙ্গ দিতে উইকেটে এসেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
লক্ষ্যটা ছোট হলেও এদিন শুরু থেকেই ধুঁকতে হয়েছে রংপুরের ব্যাটাদের। ওপেনার রনি তালুকদার ৬ রানে ফরার পর রানের খাতা খুলতে পারেননি ব্র্যান্ডন কিং। এরপর নুরুল শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাকে থামতে হয়েছে ৮ রানে। এরপর ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান দুষ্মন্ত হেমন্ত। শামিম, নাবি ও মাহাদীকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই লঙ্কান স্পিনার। ধ্বস নামে রংপুরের উইকেটে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই ফিরতে হয়েছে ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনকে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন মাশরাফি। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ৭ বলে ৬ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে। চাপ কাটানোর বদলে উল্টো চাপ বাড়িয়ে ২৪ বলে ১৪ রান করে ফিরতে হয়েছে শান্তকে।
এরপর রংপুরের বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেনি সিলেটের মিডল অর্ডার। দ্রুতই ফিরতে হয়েছে ইয়াসির ও জাকিরকে। ৩৯ রানে জয় উইকেট নেই সিলেটের। শঙ্কা ঝেঁকে বসেছিল একশর কমে আউট হওয়ার। তবে সেই শঙ্কা দূর হয় বেনি হাওয়েল ও বেন কাটিংয়ের ব্যাটিংয়ে। দু’জনে উইকেটে জমে গিয়ে ব্যাট চালালেও সেইু অর্থে স্ট্রাইক রেট বজায় রাখতে পারেননি। কাটিং ৩১ বলে ৩১ করে ফেরার পর হাওয়েল ফিরেন ৩৬ বলে ৪৩ রান করে। তাতে সিলেটের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১১৯ রানে।