বরিশালকে হারিয়ে খাতা খুলল কুমিল্লা

বরিশালকে হারিয়ে খাতা খুলল কুমিল্লা

প্রথম ম্যাচে আশা জাগিয়েও হারতে হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে। তবে এবার আর কোনো আশাভঙ্গের গল্প নয়। কুমিল্লা মাঠ ছেড়েছে ম্যাচ জিতেই। বরিশালকে হারিয়েছে ৪ উইকেটে। তাতে এবারের বিপিএলে পয়েন্টের খাতাটাও খুলল লিটন দাসের দল।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল শুরুতেই হারায় তাদের মেকশিফট ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজকে। তিনে নামা প্রিতম কুমারও ফেরেন দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে তামিম ইকবালও ফেরেন ১৯ রানে। বরিশাল তখন ঘোর বিপদের মুখেই পড়ে গিয়েছিল।

তবে এরপর মুশফিকুর রহিম আর সৌম্য সরকার মিলে পরিস্থিতিটা সামাল দেন ৬৬ রানের জুটিতে। সৌম্য ৩১ বলে করেন ৪২, ৬ চার আর ২ জয়ে দলকে দেন ভালো এক ভিত। সে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এরপর মুশফিকুর রহিম দলকে নিয়ে যান লড়াকু পুঁজির দিকে। ৪৪ বলে ৬২ রান করে তিনি যখন ফিরছেন, দলের রান তখন ১৫৬। 

তবে বরিশালের আফসোসও আছে বৈকি! সৌম্যর বিদায়ের পরে তাদের লাইন আপটা দেখুন– শোয়েব মালিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, দুনিথ ভেল্লালাগে, আব্বাস আফ্রিদি। তবে তাদের কেউই টেকেননি বেশিক্ষণ। সিঙ্গেল ডিজিট নিয়ে ফিরেছেন সবাই। না হলে বরিশালের রানটা আরও বড়ও হতে পারত। তা হয়নি বলেই দলটাকে থামতে হয় শেষমেশ ৯ উইকেটে ১৬১ রান তুলে।

জবাবে কুমিল্লার শুরুটাও ভালো হয়নি। মোহাম্মদ রিজওয়ান মন্থর শুরু পর যেই না হাত খুলে খেলতে শুরু করলেন, তখনই বিদায় নিলেন ভেল্লালাগের শিকার হয়ে। পরের বলে তাওহীদ হৃদয়কেও সাজঘরের পথ দেখালেন সেই ভেল্লালাগে। দুই অঙ্কের স্ট্রাইক রেট নিয়ে খেলা লিটনও ফিরলেন ইনিংসের নবম ওভারে, দলের রান তখন ৫৬। রস্টন চেসকে সঙ্গে নিয়ে ইমরুল কায়েস এগোলেন কিছুক্ষণ, তবে চেস তাকে সঙ্গ দিতে পারলেন না বেশি দূর। ১৫ বলে ১৩ রান করে ফেরেন দলকে রান তাড়ার মাঝপথে রেখে।

সেখান থেকে কুমিল্লার লড়াইটা একাই লড়ছিলেন ইমরুল। ৪১ বলে ৫২ রান করে তিনি ফেরার পর মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি হাত ফসকে বেরিয়েই গেল কুমিল্লার। তবে তার সঙ্গী জাকের আলী অনিক তিনি ফেরার পরই জ্বলে ওঠেন। আব্বাস আফ্রিদির সে ওভারের শেষ দুই বলে তিনি দুই ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান তিনি। পরের ওভারে মোহাম্মদ ইমরানকে এক চার মেরে রানের খাতা খোলেন খুশদিল শাহ। সে ওভারে শেষমেশ এল ১১, পরের ওভারে ৯। শেষ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন গিয়ে ঠেকল ১২ রানে। ওভারের প্রথম বলেই রান আউট হয়ে বিদায় নেন খুশদিল। তবে এরপর ম্যাথিউ ফোর্ড এসে প্রথম বলে নেন দুই রান, খালেদ আহমেদের করা পরের বলে হাঁকান ছক্কা। কুমিল্লার জয়টা নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই। এরপরের বলে এক চার জয়ের আরও কাছে নিয়ে যায় তাদের। ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতাটাই কেবল সেরেছে দলটা। ৪ উইকেটের জয় নিয়ে চলে আসে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে।

সম্পর্কিত খবর