অল্প পুঁজিতে বড় জয় কুমিল্লার
সিলেট পর্বে এসেই হারের বৃত্ত ভেঙে টুর্নামেন্টে প্রথম জয় তুলবে সিলেট স্ট্রাইকার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৩০ রানে আটকে দেওয়ার পর অন্তত সেটিই মনে হয়েছিল। অবশ্য সেই স্বপ্নটা ভাঙতে সময় লাগেনি বেশি। জবাব দিতে ব্যাট হাতে নেমেই আলিস ইসলামের বোলিং তোপে পরে ২৮ রানেই ৬ উইকেট খুঁয়ায় সিলেট। ম্যাচটা ওখানেই হাত ছাড়া করে ফেলে সিলেট। এরপর জাকির হাসানের ৪১ রান কেবলই ব্যাবধান কমিয়েছে। সিলেট গুটিয়ে গেছে ৭৮ রানে। ৫২ রানে জিতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলেছে আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। উঠে এসেছে টেবিলের ২ নম্বরে।
সিলেটের সামনে লক্ষ্যটা এদিন ছোটই ছিল। তবে সেই ছোট লক্ষেও তালগোল পাকিয়ে ফেলে স্বাগতিকদের ব্যাটাররা। আলিসের বোলিংয়ে সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তাদের ঘরের মতো। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাড়িয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন জাকির। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিল রায়ান। তবে চেস এর বলে ১৪ রান করে ফিরলে আশা ছেড়ে দেন জাকির। তিনি নিজেও ফিরেন খানিক পর। ৪১ রানে তার ফেরার সঙ্গে শেষ হয় সিলেটের জয়ের স্বপ্ন। দলটির ইনিংস থামে ১৬.২ ওভারে ৭৮ রানে। আলিসের শিকার ৪ উইকেট।
এর আগে, এদিন টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুর প্রথম ওভারেই লিটন দাসের উইকেট তুলে নেয় সিলেট। এরপর সুবিধা করতে পারেনি মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ইমরুল কায়েস থিতু হলেও সঙ্গ পাচ্ছিলেন না। একটা সময় তিনিও ফেরেন ২৮ বলে ৩০ রান করে। দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় জাকের আলির কাঁধে।
তিনি সঙ্গ পেয়েছেন খুশদিল শাহর। তবে দু’জনের কেউই সেই অর্থে স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেননি। ২২ বলে ২১ রান করে ফিরতে হয় খুশদিলকে। আগের ম্যাচের নায়ক ম্যাথিউ ফর্ড এদিন রাখতে পারেননি ভূমিকা। চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়াটায় হয়ে দাঁড়ায় কঠিন কাজ।
পরে শেষদিকে টেলেন্ডারদের নিয়ে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দিতে লড়েন জাকির। তার ২৯ রানেই ইনিংসে ভর করেই ৮ উইকেট খরচায় কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩০ রান। সিলেটের বোলারদের মধ্যে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন সামিত প্যাটেল। মাশরাফি ৪ ওভারে ১৯ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।