হারের হ্যাটট্রিক বরিশালের
ঢাকা পর্বটা টানা দুই হার নিয়ে শেষ করেছিল ফরচুন বরিশাল। এবার সিলেট পর্বের শুরুটাও দলটা করল হার দিয়েই। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষমেশ হেরেছে ১০ রানে। যার ফলে হারের হ্যাটট্রিকই করে ফেলেছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।
টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। তার সিদ্ধান্তটা কিছুটা ফল দিয়েওছিল শুরুতে। ২১ রানে চট্টগ্রামের দুই উইকেট তুলে নিয়েছিল বরিশাল।
এরপরই চট্টগ্রাম ম্যাচে ফেরে আভিশকা ফার্নান্দোর ব্যাটে চড়ে। একের পর এক দর্শনীয় শটে সিলেটের দর্শকদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়ান তিনি। তার সঙ্গে প্রথমে ছিলেন শাহাদাত হোসেন দীপু, এরপর নাজিব উল্লাহ জাদরান। তবে দুজনেই সাপোর্টিং রোলই পালন করে গেছেন। ৫০ বলে ৯১ করা আভিশকা ছিলেন মারমুখী মেজাজে।
তবে কারটিস ক্যামফার নেমেই পরিস্থিতিটা বদলে দিলেন। ৯ বলে খেললেন ২৯ রানের ঝোড়ো ক্যামিও। সেঞ্চুরিটা শেষমেশ পাওয়া হয়নি আভিশকার, তবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স শেষমেশ পৌঁছে যায় এবারের আসরের সর্বোচ্চ ১৯৩ রানে।
এরপর জবাবে আহমেদ শেহজাদের তোপে শুরুটা বেশ ভালো হয় বরিশালের। ষষ্ঠ ওভারে তুলে ফেলে ৫৫ রান। ১৭ বলে শেহজাদ করেন ৩৯ রান। তার বিদায়ের পর থেকেই ধীরে ধীরে বরিশাল ছিটকে যেতে থাকে ম্যাচ থেকে। তামিম, সৌম্য, মুশফিকরা ভালো শুরু পেলেও সেটাকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি, তাদের ইনিংস শেষ হয়েছে যথাক্রমে ৩৩, ১৭, ২৩ রানে।
মেহেদি হাসান মিরাজ একটা চেষ্টা করেছিলেন বটে। তার ১৬ বলে ৩৫ রান কিছুটা আশাও জাগিয়েছিল বরিশালের। কিন্তু সে আশা শেষমেশ পূরণ হলো না। দুনিথ ভেল্লালাগে শেষ দিকে চেষ্টা করলেন, ৪ বলে ১০ রান এনে দিলেন দলকে। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। বরিশাল শেষমেশ ১০ রানের আফসোস নিয়েই মাঠ ছাড়ে। ৪ ম্যাচে শেষে ২ পয়েন্ট নিয়ে দলটা আছে টেবিলের পঞ্চম স্থানে।