জোসেফদের বীরত্বে অস্ট্রেলিয়ায় ২৭ বছরের খরা কাটাল উইন্ডিজ
অস্ট্রেলিয়া তখন জয়ের খুব কাছে। প্রয়োজনীয় রানটা ২০। স্টিভেন স্মিথ তখনই একটা লেন্থ বলকে রূপ দিলেন ছক্কাতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজও কম কাছে ছিল না, জয় থেকে দূরত্বটা তো স্রেফ একটা উইকেটেরই! ম্যাচ থেকে আরও একটা ফল বেরিয়ে আসতে পারত, টাই! অসম্ভব কিছু ছিল না আদৌ।
তবে সব উৎকণ্ঠার শেষটা হলো তার হাত ধরে, যার কারণে ম্যাচটা এত দূর এসেছে। শামার জোসেফ বোল্ডই করে দিলেন জশ হেইজেলউডকে। উইন্ডিজ ম্যাচটা জিতল ৮ রানে। সঙ্গে সঙ্গে ঘুচে গেল ২৭ বছরের দীর্ঘ এক খরা। ১৯৯৭ সালের পর যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আর কখনোই টেস্ট জেতেনি ক্যারিবীয়রা! সেটা ঘুচল এবার এসে, এই শামার জোসেফের হাত ধরে।
অথচ এই শামার জোসেফের তো আজকের ম্যাচেই খেলার কথা ছিল না, চোটের কারণে ব্যাট করতে নেমে কাতরাচ্ছিলেন রীতিমতো। শেষমেশ আজ নামলেন চোটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। নেমেই বাজিমাত! জিততে উইন্ডিজের আট উইকেট প্রয়োজন ছিল, শামার একাই নিলেন ৭টি। আরেকটা উইকেট যে অস্ট্রেলিয়া খোয়াল, সেটাও এক জোসেফের হাতেই। আলজারি বিদায় করেছিলেন নাথান লায়নকে। তারপরই না এমন জয়!
ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ের পর এই সিরিজই প্রথম। এই সিরিজ দিয়েই ওপেন করতে উঠে এসেছিলেন স্টিভেন স্মিথ। প্রথম তিন ইনিংসে করেছিলেন স্রেফ ১২, ১১* আর ৬। তাই কানাঘুষা বেড়েই যাচ্ছিল। স্মিথ শেষমেশ জ্বলে উঠেছিলেন দলের যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখন। অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে। কিন্তু ওই যে, শামার যে বীরত্ব দেখালেন, তাতে স্মিথের ইনিংসের আদ্যন্ত ব্যাট করার কৃতিত্বটা ফিকেই পড়ে গেল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল টেস্টটা। কাটাল ২৭ বছরের জয় খরা। জশ হেইজেলউডের শেষ উইকেটটা তুলে নিয়েই শামার দিয়েছিলেন খ্যাপাটে এক দৌড়। এমন জয়ের পর বাধনহারা হওয়াটাই তো খুব স্বাভাবিক!