কুমিল্লাকে হারিয়ে তিনে উঠে এল রংপুর
শেষ ওভারে নাটকই হলো বটে! কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ২৯। শুরুতে তাওহীদ হৃদয়, এরপর আমির জামালও গেলেন। জাকের আলী অনিক এসে দুটো ছক্কা হাঁকালেন সাকিব আল হাসানকে। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচটা হাত ফসকেই গেছে কুমিল্লার। তবু একটা আশা ছিল দলটার, যদি দেখা দেয় কোনো ‘গৌরবময় অনিশ্চয়তার’ দেখা মেলে!
তা আর হয়নি। শেষমেশ রংপুর রাইডার্সই হেসেছে শেষ হাসি। ৮ রানের জয় নিয়ে কুমিল্লাকে টপকে গেছে পয়েন্ট টেবিলেও। বর্তমানে বিপিএলের শীর্ষ তিনে উঠে এসেছে দলটা।
কুমিল্লার সামনে লক্ষ্যটা ছিল ১৬৬ রানের। সে লক্ষ্য সামনে নিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা শুরু থেকেই ছিল বেশ মন্থর। প্রথম বলে লিটন দাসকে হারানোর পর থেকে সবসময়ই ছিল প্রয়োজনীয় রান রেট থেকে পেছনে।
মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলেছেন ২১ বলে ১৭ রানের ইনিংস। তার সঙ্গী মাহিদুল অঙ্কনও ৫৫ বল খেলে তুলতে পেরেছেন মোটে ৬৩ রান। যা কুমিল্লার ওভার প্রতি প্রয়োজনীয় রানটাকে বাড়াচ্ছিলই ক্রমে।
১৭তম ওভারে যখন অঙ্কন ফিরছেন, তখন কুমিল্লার ২২ বলে ৫৩ রান চাই। রংপুর ইনিংসের শেষ দিকে কাজটা করেছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ২০ বলে করেছিলেন ৩৫। সঙ্গী হিসেবে নুরুল হাসান সোহান, নবীরাও বেশ ভালো করেছিলেন। কিন্তু কুমিল্লার হয়ে কাজটা করতে পারলেন না তাওহীদ হৃদয়, খুশদিল শাহ, রেমন রেইফাররা। ফলে শেষ ওভারে ৩৯ রানে যখন ফিরছেন হৃদয়, ম্যাচটা কার্যত শেষই হয়ে গেছে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ সতর্কভাবে করে রংপুর। ১৮ রান তুলতে খেলতে হয় ২.৫ ওভার। এরপর তানভীর ইসলামের ওভারে ব্রেন্ডন কিংকে খুইয়ে বসে দলটা।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রংপুরের হাল ধরেন বাবর আজম আর তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বি। দুজন মিলে ৪৬ বলে ৫৫ রান যোগ করেন। এরপরই বাবর ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে দুটো উইকেট খুইয়ে বসে রংপুর। রানও আসেনি তেমন, ৩৪ বলে আসে মোটে ৩৬ রান। ১৭তম ওভারে দলের রান ছিল ১০৯।
এরপরই দলের পরিস্থিতিটা বদলে যায় আজমতউল্লাহ ওমরজাই আর মোহাম্মদ নবীর হাত ধরে। ওমরজাই ২০ বলে ৩৬ রান করেন। তার বিদায়ের পর আসেন নুরুল হাসান, তিনি করেন ৬ বলে ১৫, ওদিকে নবী করেন ৭ বলে ১৩ রান। শেষ ২৩ বলে রংপুর তোলে ৫৬ রান। তাতেই দলটা ইনিংস শেষ করে ১৬৫ রান তুলে। যা কুমিল্লার বিপক্ষে যথেষ্টই ছিল দলটির জন্য।