শেহজাদ-রিয়াদে ভর করে বরিশালের ১৮৬

শেহজাদ-রিয়াদে ভর করে বরিশালের ১৮৬

শুরুটা করলেন আহমেদ শেহজাদ। শেষটা করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই পেলেন ফিফটি। ফরচুন বরিশাল তাতেই পেল একেবারে নিখুঁত এক টি-টোয়েন্টি ইনিংস, স্কোরবোর্ডে জমা পড়ল ১৮৬। সিলেট স্ট্রাইকার্সের সামনে পড়ল ১৮৭ রানের লক্ষ্য। হারের হ্যাটট্রিকের পর সিলেটের জয়ে ফেরার দারুণ এক সম্ভাবনাই তৈরি হয়েছে তাতে।

টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার সিলেট। তামিম ইকবালকে যখন দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরের পথ দেখালেন নাঈম হাসান, তখন সে সিদ্ধান্তটাকে ঠিকই মনে হচ্ছিল। এরপর প্রীতম কুমারকে যখন রিচার্ড এনগারাভা ফেরালেন, তখন তো কথাই নেই!

তবে পরিস্থিতিটা বদলে দেন আহমেদ শেহজাদ। শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী মেজাজে। এরপর সঙ্গী হিসেবে পেলেন সৌম্য সরকারকে। ওপাশে উইকেট ধরে রাখার নিশ্চয়তাটা পেতেই নির্ভার হয়ে টানলেন বরিশালের ইনিংসটাকে। শুরুর দশ ওভারেই তাতে চলে এল ৮৩ রান।

সৌম্য ফেরার পর উইকেটে আসা মুশফিকও নিজের ভূমিকাটা বুঝতে পারলেন। শেহজাদের ব্যাট তাই সঙ্গী বদল হলেও থামেনি। থামল ১৪তম ওভারে। তার নামের পাশে তখন যোগ হয়ে গেছে ৪১ বলে ৬৬ রান। বরিশাল তাতে পেয়ে গেছে লড়াকু পুঁজির শক্ত ভিত।

সে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শেহজাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপ নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে সেটা হলো মুশফিকের বিদায়ের পর। ১৭তম ওভারের শেষ বলে মুশফিক ফিরলেন যখন, এরপরই উইকেটে এলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ভয়ঙ্কর মাহমুদউল্লাহর দেখাও মিলল ঠিক তখন। ২৩ বলে ফিফটি করলেন, ২৪ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত রইলেন। মিরাজও ৬ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত রইলেন। তাতেই বরিশালের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ১৮৬ রানের পাহাড়। 

সম্পর্কিত খবর