ক্লাসেনই জ্বালাবেন প্রোটিয়া-আশার প্রদীপ
গেল নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন দলে, খেলেছিলেন দুটো ম্যাচ। তবে পাকিস্তান আর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওই দুটো ম্যাচে সে হাইনরিখ ক্লাসেন ছাপ ফেলতে পারেননি তেমন। সেমিফাইনাল থেকে এক জয়ের দূরত্বে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাও তাই বাড়ি ফেরে শূন্য হাতেই।
সেই হাইনরিখ ক্লাসেন আর এখনকার ক্লাসেনের সঙ্গে পার্থক্যটা অযুত নিযুত মাইলের যেন। শেষ এক বছরে পাওয়ার হিটিংয়ের কাজটা কে করেছেন সবচেয়ে ভালো, প্রশ্নের জবাবে তার নামটা উঠে আসবে শুরুর দিকেই।
গেল বিশ্বকাপের পর থেকে তিনি কী করেছেন শুনুন। বছরের শুরুতে নিজ দেশের এসএটি২০ এ শুরু তার বদলে যাওয়ার। ৪৩ বলে করলেন সেঞ্চুরি। জানান দিলেন নিজের আগমনী বার্তা। এরপর আইপিএলে সেঞ্চুরি করলেন আরও একটি, তাও আবার ২০০ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেটে। এরপর মেজর লিগ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি; দ্য হান্ড্রেডেও খেললেন খুনে সব ইনিংস। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়েও…
দলের সময়টা ভালো কাটছিল না। গেল বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায়, তাও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার কাছেও হারল টেস্ট সিরিজে। ওয়ানডে সুপার লিগ থেকেও বাদ পড়ার মতো অবস্থায় ছিল দল। সে অবস্থা থেকে যখন ভাগ্যক্রমে মুক্তি মিলে গেল শেষমেশ, এরপরই দলের চেহারা বদলে গেল রীতিমতো। অন্তত ওয়ানডেতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেভাবে সিরিজ জিতল, তার পর তো বটেই!
তার একটা বড় নিয়ামক এই হাইনরিখ ক্লাসেনের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খুব একটা সুযোগ পাননি নিজেকে জাহির করার, তবে খেলাটা যখন ভারতের মাটিতে, তখন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হয়েই যান না।
তার শক্তির জায়গাটা স্পিন খেলার দক্ষতাতে। উপমহাদেশে যখন বাইরের দল আসে, তখন স্পিনই গড়ে দেয় পার্থক্যটা। তখন যদি মিডল অর্ডারে কেউ থাকেন, যিনি স্পিন খেলেন ভালো, খেলতে পারেন মাঠের চারপাশে, আছে পেশি শক্তির জোরও, সেই খেলোয়াড়টার ওপর আপনার বাড়তি নজর দিতেই হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এমনিতে পারফর্মারের অভাব নেই। তবে ক্লাসেনের সাম্প্রতিক ফর্ম আর তার ক্ষমতাই তাকে আলাদা করে দিচ্ছে আর সবার চেয়ে। বিশ্বকাপেও তাই দক্ষিণ আফ্রিকার ভালো-মন্দের অনেকটাই নির্ভর করবে ক্লাসেনের ওপর।