নেপালকে উড়িয়ে সেমির আশা বাঁচাল বাংলাদেশ

নেপালকে উড়িয়ে সেমির আশা বাঁচাল বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে ভারতের বিপক্ষে হারায় শেষ চারে উঠার সমীকরণটা বেশ জটিল হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য। সেই জটিল সমীকরণ মেলাতে সুপার সিক্সে জয়ের সঙ্গে রানরেটটাও বাড়িয়ে নিতে হতো বাংলাদেশকে। নেপালের বিপক্ষে সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে সেই কাজটাই করেছে বাংলাদেশ। নেপালকে ১৬৯ রানে বেধে ফেলে ২৪.৪ ওভারে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। তাতে বেশ শক্তভাবেই সেমির রেসে টিকে আছে বাংলাদেশ।

এদিন কঠিন সমীকরণ মেলাতে আগে ব্যাট করতে নামা নেপালকে অল্প রানে বেধে ফেলতে হতো বাংলাদেশ যুবাদের। সেই কাজটা বেশ দায়িত্ব নিয়েই করেছে বাংলাদেশি বোলাররা। পাওয়ার প্লেতেই তিন উইকেট তুলে নিয়েছে নেপালের। এরপর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নেপালের ব্যাটারদের চাপে রেখেছে বাংলাদেশি বোলাররা। সুবিধা করতে দেয়নি নেপালের কোনো ব্যাটারকে।

নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করলেও ১০০ বল খেলতে হয়েছে বিশাল বিক্রমকে। অবশ্য নেপালকে দেড়শর আগেই গুটিয়ে ফেলতে পারত বাংলাদেশ। তবে সেটি হতে দেয়নি সুভাস ভান্ডারি। ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ১৬৯ রানের লড়াই করার পুঁজি এনে দেন তিনি। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন বর্ষণ। তিনটি উইকেট তুলেছেন জীবন।

নেপালের মাঝারি লক্ষ্যে বাংলাদেশকে আগ্রাসী শুরু এনে দেন ওপেনার জিসান আলম। অপর প্রান্তে আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ধীর গতিতে ব্যাট চালালেও তিনি ব্যাট করছিলেন সাবলীল ভঙ্গিতে। তাদের দুজনের জুটিতে আসে ৬৭ রান। ৩৪ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন শিবলি। এরপর জিসানের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে টানছিলেন রিজওয়ান। তবে ১১ বলে ১৫ রান করে ফিরতে হয় তাকে।

এরপর ৪৩ বলে ৫৫ রান করে ফিরে যান জিসানও। তবে দায়িত্ব নিতে ভুল করেননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল ইসলাম। মাঝে দুই ব্যাটার ফিরলেও আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে দ্রুতই বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। বজায় রেখেছেন রানরেট। তার ৩৮ বলে ২ ছয় ও ৭ চারে করা অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসে ১৪৮ বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ।

সুপার সিক্সে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। বিশ্বকাপের শেষ চারে খেলতে যেই ম্যাচে জয়ের সঙ্গে রানরেটের দিকেও নজর দিতে হবে বাংলাদেশকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ১৬৯ (৪৯.৫ ওভার); (দেব ৩৫, বিক্রম ৪৮, ভান্ডারি ১৮*; বর্ষণ ৪/১৯, জীবন ৩/৩৪)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ১৭০/৫ (২৫.২ ওভার); (জিসান ৫৫, আরিফুল ৫৯*; ভান্ডারি ৫/৪৪)
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫ উইকেটে জয়ী।

সম্পর্কিত খবর