লঙ্কানদের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া বাংলাদেশের
ত্রিদেশীয় সিরিজ জুড়ে দারুণ খেলা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল হারল পঞ্চম ম্যাচে এসে। তাতেই সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হলো সুমাইয়া আক্তারের দলের। হাতছাড়া হলো শিরোপা। সিরিজের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬ রানের বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
আগের দুই ম্যাচের কোনোটিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে না পারা লঙ্কান মেয়েরা যেন শোধ তুলল এদিন। আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে জমা করল ৩ উইকেটে ১৪৮ রান। মেয়েদের ক্রিকেটে যা বেশ কঠিন। তার ওপর চলতি সিরিজে এত রান হয়নি এর আগে। এমন লক্ষ্যে যেই শুরুটা দরকার ছিল বাংলাদেশের হয়নি সেটা। পাওয়ার প্লেতে দলীয় ২৫ রানের আগেই নেই বাংলাদেশের ৪ ব্যাটার। এমন ভয়াবহ শুরুর পর ম্যাচ জেতাটা প্রায় অসম্ভবই বটে।
এরপরও খানিকটা আশার প্রদীপ জ্বেলে রেখেছিলেন রাবেয়া। তবে বাকিদের কাছ থেকে সেই অর্থে সমর্থন পাননি তিনি। উল্টো হারের ব্যবধান কমানোর প্রবণতাই চোখে পড়েছে তাদের ব্যাটের ধরণ দেখে। একটা সময় থামতে হয়েছে রাবেয়াকেও। ২৯ বলে ৩১ রান করে তিনি ফিরলে শেষ হয় বাংলাদেশের জয়ের ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকুও। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১১২ রানে। তাতে লঙ্কানরা জয় পায় ৩৬ রানে।
এর আগে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই দলীয় শত রান পার করে লঙ্কানরা। দুই ওপেনার নেথমি পূর্ণা সেনারথনা ও দেউমি বিহঙ্গ উইজেরথনে দারুণ ব্যাট করেন বাংলাদেশি বোলারদের বিপক্ষে। উইকেটে কোনো আঘাত না আসতে দিয়ে উল্টো বাংলাদেশি বোলারদের চাপে রাখেন দু’জনে। তাদের দু’জনের ব্যাটেই বড় সংগ্রহের ভিত পায় লঙ্কানরা।
তাদের দু’জনের জুটি ভাঙে ১০৪ রানে। নিশিতার বলে ৪২ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফিরেন দেউমি। অবশ্য আরেক ওপেনার সেনারথনা ছিলেন শেষ পর্যন্ত। মাঝে আরও দুটি উইকেট পড়লেও শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৪৮ রান জমা করে লঙ্কানরা। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৭ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন সেনারথনা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল: ১৪৮/৩; (সেনারথনা ৬৬*, দেউমি ৪৯; রাবেয়া ১/২৪)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল: ১১২/৮; (রাবেয়া ৩১, উন্নতি ১৪, তানি ১৪; দেউমি ৩/১৩, হেরাথ ২/১৬)
ফল: শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল ৩৬ রানে জয়ী।