মাশরাফি গেলেন, সিলেটও জিতল

মাশরাফি গেলেন, সিলেটও জিতল

মাশরাফি বিন মুর্তজাতেই সিলেট স্ট্রাইকার্স আটকে আছে কি না, তা নিয়ে কানাঘুষা কম হয়নি শেষ কিছু দিনে। শেষমেশ সিলেট অধিনায়ক সরে দাঁড়ালেন টুর্নামেন্টের মাঝপথে। এরপরই সিলেট দলে এল বড় পরিবর্তন। অন্তত ফলাফলের দিক থেকে।

পারফর্ম্যান্সের দিক থেকেও বৈকি! সিলেট এর আগে ১৭০এর বেশি রান করেও হেরেছে এবার। ব্যাটিংয়ের সমস্যা আজও ছিল। যে কারণে পুঁজিটা এল মোটে ১৪২ রানের। কিন্তু সেই দলটা জিতল আজ। কারণ তাদের দুর্দান্ত বোলিং। দুর্দান্ত ঢাকাকে মোটে ১২৭ রানই করতে দিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। দলটা শেষমেশ ১৫ রানে জিতে তুলে নিয়েছে এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম জয়। 

পাওয়ারপ্লেতে একের পর এক উইকেট খোয়ানো, নিজেদের ব্যর্থতার পেছনের কারণ হিসেবে এসবকেই দেখছিলেন সিলেট কোচ রাজিন সালেহ। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টা স্বীকারও করেছেন। সেই সমস্যা আজও ছিল। পাওয়ারপ্লেতে ১৩ রান তুলতে তিন উইকেট খুইয়ে বসেছিল দলটা। এরপর সামিত পাটেলের সঙ্গে শুরুতে, শেষ দিকে আরিফুল হকের সঙ্গে জুটি গড়ে এই ম্যাচ দিয়েই দলে ফেরা ও 'অধিনায়ক' মোহাম্মদ মিঠুন ভদ্রস্থ একটা পুঁজি এনে দেন সিলেটকে। নিজে খেলেন ৪৬ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। সিলেট পায় ১৪২ রানের পুঁজি। 

এর আগে এর চেয়ে বড় রানের পুঁজি নিয়েও শেষমেশ জেতা হয়নি। তাই এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পরও সিলেট জিতবে, এমনটা ভাবার মতো আশাবাদী কোনো পাঁড় সিলেট ভক্তকেও পাওয়া যেত কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। কিন্তু সিলেট শেষমেশ তাই করে দেখাল!

দুর্দান্ত ঢাকার নিজেদের পরিস্থিতিটাও অবশ্য 'দুর্দান্ত' নয়, ভদ্রস্থও বলা চলে না। হেরেছে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে। শুরুতে উইকেট নিয়ে তাদের চাপে ফেললেন সিলেটের বোলার রিচার্ড এনগারাভা। প্রথমে সাইম আইয়ুব, এরপরের ওভারে তুলে নিলেন ছন্দে থাকা মোহাম্মদ নাইমের উইকেট। সাইফ হাসান আর অ্যালেক্স রস যখন আশা দেখাচ্ছিলেন ঢাকাকে, তখন সাইফ বিদায় নিলেন রান আউট হয়ে। এরপর থেকেই একটু একটু করে ঢাকাকে আবারও চাপে ফেলতে থাকে সিলেট। পরের ওভারে রেজাউর রহমান রাজা ফেরালেন অ্যালেক্স রসকে।

নাঈম হাসান নীরবে নিভৃতে নিজের কাজটা করে যাচ্ছিলেন রান আটকে। এরপর তিনিও যোগ দেন উইকেটের মিছিলে। ফেরান ইরফান শুক্কুরকে।

এরপর এনগারাভা দৃশ্যে আসেন আবার। গুলবাদিন নাইব আর আরাফাত সানিকে ফেরান সাজঘরে। ঢাকার হার তখন নিশ্চিত। এরপরও শেষমেশ অলআউট হয়নি, হারের ব্যবধানটাও ২০ এর নিচে নেমে এসেছে তাসকিন আহমেদের কল্যাণে। তিনি শেষমেশ অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে। ১১ বলে ৬ চারে তিনি সাজান তার ইনিংস। ২০ ওভার শেষে ঢাকা তুলতে পারে ১২৭ রান, ৯ উইকেট খুইয়ে। তাতেই মাশরাফি যাওয়ার ঠিক পরের ম্যাচে ১৫ রানের ব্যবধানে সিলেট তুলে নেয় এবারের বিপিএলে তাদের প্রথম জয়টা।

সম্পর্কিত খবর