পাকিস্তানের লেজের নাগাল পেয়ে গেছে বাংলাদেশ
৩৮ ওভারের আশেপাশে ম্যাচ জিততে হবে। পাকিস্তান ৪০০র আশেপাশে রান করলেও ওভার বাড়বে মোটে দুটো। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তে এই ঝুঁকিটা ছিলই! অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি সে ঝুঁকিটাই নিলেন। এবং তাতে সফলও হলেন, অন্তত মাঝ ইনিংস পেরোনোর পর। পাকিস্তানের ইনিংস তিন অঙ্ক ছোঁয়নি এখনও, এরই মধ্যে যে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে দলটার লেজের নাগাল পেয়ে গেছে বাংলাদেশ!
উইকেটটা নতুন। জীবন্ত ঘাস আছে পিচে। তার সুবিধাটা নিতেই কি না, বোলিংয়ের সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তা সামলে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো এনে দিয়েছিলেন ওপেনার শামিল হোসেন আর শাজেইব খান। তুলে ফেলেছিলেন ৩৭ রান।
তবে এরপরই আক্রমণে রোহানাত দৌলা বর্ষণকে আনেন অধিনায়ক মাহফুজুর। দৃশ্যটা বদলে যায় তখনই। শামিল হোসেনকে দারুণ এক ইনসুইংয়ে ফেরান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খেই হারায় পাকিস্তান। দলীয় রান পঞ্চাশ পেরোতে ৬ রান করা আজান অওয়াইসকেও সাজঘরের পথ দেখান বর্ষণ।
এরপর পাক অধিনায়ক সাদ বেগ বিদায় নেন আরিফুল ইসলামের ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউট হয়ে। ওপেনার শাজেইব চোখরাঙানি দিচ্ছিলেন একপাশ আগলে রেখে। তবে তাকে বিদায় করেন শেখ পারভেজ জীবন।
এর একটু পর আবারো আরেক উইকেট তুলে নেন বর্ষণ। এরপরের ওভারে আক্রমণে আসা জীবন তুলে নেন আরও একটি। পাকিস্তানের রান তখন মোটে ৮৯, তখনই ৬ উইকেট খুইয়ে বসে দলটা। ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ।