পাকিস্তানকে ১৫৫ রানে গুঁড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

পাকিস্তানকে ১৫৫ রানে গুঁড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

সেমিফাইনালে যেতে হলে জিততে তো হবেই, মেলাতে হবে সমীকরণও। বাংলাদেশের সামনে সে সমীকরণটা কী? সহজ হিসেব, আগে ব্যাট করলে ৫২ রানে আর পরে ব্যাট করলে ৩৮.১ ওভারে জিততে হবে দলকে। সে সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে টস ভাগ্যটা বাংলাদেশকে সঙ্গ দিল, অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি বেছে নিলেন বোলিংকেই। বোলাররা তার আস্থার প্রতিদান দিয়েছে। পাকিস্তানকে ১৫৫ রানেই অলআউট করে দিয়েছে। এখন শেষ চারে যেতে হলে বাংলাদেশকে এ রান টপকে যেতে হবে ৩৮.১ ওভারে। 

উইকেটটা নতুন। জীবন্ত ঘাস আছে পিচে। তার সুবিধাটা নিতেই কি না, বোলিংয়ের সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তা সামলে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো এনে দিয়েছিলেন ওপেনার শামিল হোসেন আর শাজেইব খান। তুলে ফেলেছিলেন ৩৭ রান।

তবে এরপরই আক্রমণে রোহানাত দৌলা বর্ষণকে আনেন অধিনায়ক মাহফুজুর। দৃশ্যটা বদলে যায় তখনই। শামিল হোসেনকে দারুণ এক ইনসুইংয়ে ফেরান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে খেই হারায় পাকিস্তান। দলীয় রান পঞ্চাশ পেরোতে ৬ রান করা আজান অওয়াইসকেও সাজঘরের পথ দেখান বর্ষণ।

এরপর পাক অধিনায়ক সাদ বেগ বিদায় নেন আরিফুল ইসলামের ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউট হয়ে। ওপেনার শাজেইব চোখরাঙানি দিচ্ছিলেন একপাশ আগলে রেখে। তবে তাকে বিদায় করেন শেখ পারভেজ জীবন।

এর একটু পর আবারো আরেক উইকেট তুলে নেন বর্ষণ। এরপরের ওভারে আক্রমণে আসা জীবন তুলে নেন আরও একটি। পাকিস্তানের রান তখন মোটে ৮৯, তখনই ৬ উইকেট খুইয়ে বসে দলটা।

সেখান থেকে পাকিস্তানের হাল ধরেন আলী আসফান্দ আর আরাফাত মিনহাজ। গড়েন ৪৩ রানের জুটি। তবে তাদের জুটিটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ভেঙে দেন শেখ পারভেজ জীবন। নিজের শেষ ওভারে তিনি তুলে নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। দশ ওভার তিনি শেষ করেছেন ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে। 

আরাফাত মিনহাজ ওপাশে সঙ্গীদের আসা যাওয়া দেখেও অবিচলই ছিলেন। খেলেছেন ৪০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুরের বলে স্টাম্পড হয়ে। এর আগে রোহানাত দৌলা বর্ষণ তুলে নেন নবম উইকেটটা। জীবনের মতো তিনিও ৪ উইকেট নিয়েছেন ২৪ রান দিয়ে। 

পাকিস্তান তাতে ১৫৫ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে যেতে হলে এখন এই রান ৩৮.১ ওভারে তাড়া করতে হবে। 

 

সম্পর্কিত খবর