দুর্দান্ত ঢাকা কেন এমন ‘নিরীহ’?

দুর্দান্ত ঢাকা কেন এমন ‘নিরীহ’?

পাঁচ ম্যাচ শেষ। জয় দিয়ে এবারের বিপিএল শুরু করা দুর্দান্ত ঢাকা আর একটা ম্যাচেও জিততে পারেনি। সবশেষ সিলেট পর্বে হেরেছে টানা তিন ম্যাচে। জয় দিয়ে শুরুর পরও দল পড়ে আছে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে। এমন পরিস্থিতিতে দায়টা ব্যাটারদেরই দেখছেন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। 

টপ অর্ডারে রান আসছে না। তাই প্রতি ম্যাচেই দলের রানটা আটকে যাচ্ছে গিয়ে ১৪০ এর  আশেপাশে। প্রথম ম্যাচে বাদে একটি ম্যাচেও ১৪০ পেরোয়নি তাদের রান। দায়টা তাই ব্যাটারদেরই দিচ্ছেন ঢাকার কোচ।

দল যেভাবে খেলছে, তার প্রক্রিয়াটাই পছন্দ হচ্ছে না সুজনের। তিনি বললেন, ‘খেলায় হার জিত আছেই। কিন্তু যেভাবে আমরা হারছি, এই প্রক্রিয়াটা মোটেও ভালো দেখাচ্ছে না। আমি মনে করি কোনো ম্যাচেই… এমনকি কুমিল্লা ম্যাচেও যেটা আমরা জিতেছি, বড় ব্যবধানে জেতার কথা ছিল, ১০০ জুটি এসেছিল ওপেনিংয়ে সেখান থেকে আমরা স্ট্রাগল করে ম্যাচটা জিতেছি। চট্টগ্রামের সাথে টস একটা ফ্যাক্টর ছিল। তারপরও আমি এসবকে অজুহাত হিসেবে নিতে চাই না। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি।’ 

এরপরই কারণটাকে সামনে টানলেন সুজন। বললেন, ‘আমাদের ব্যাটাররা আমাদের হতাশ করেছে বেশি। আমাদের টপ অর্ডারে আপনি যদি দেখেন যে ১২-১৩ ওভারের ভেতরে ৫-৬টা ব্যাটার নেই… শেষের দিকে সাত ব্যাটার নিয়ে খেলেও আমরা পারিনি। ৫-৬টা উইকেট দ্রুত পড়ে যাচ্ছে। শেষ ম্যাচেও আপনি যদি দেখেন আমরা ১৫ রানে হেরেছি, শেষ ৪ ওভার ব্যাট করেছে আমার বোলাররা, শরিফুল, আরাফাত, তাসকিন আর উসমান, একজন ব্যাটার থাকলে হয়তো খেলাটা অন্যরকম হতে পারত। সেটা হচ্ছে না আসলে।’

টপ অর্ডার ব্যাটারের সমস্যাটা কী তাহলে? খালেদ মাহমুদের চোখে, সেটা হচ্ছে উইকেট পড়তে ব্যর্থ হওয়া। শুরুর দিকের ব্যাটাররা উইকেট না পড়েই খেলতে চাইছেন ইচ্ছেমতো, সেটাই কাল হচ্ছে দলের জন্য। 

তিনি বলেন, ‘টপ অর্ডারে আমার মনে হয় ব্যাটাররা উইকেট রিড করছে না। সব উইকেটে একই রকম ব্যাটিং হয় না আসলে। এটা ওরা কেন করতে পারছে না, এক্সিকিউশন কেন হচ্ছে না! সিলেট যখন ব্যাট করল, তখন পরিস্থিতিটা কঠিন ছিল, সহজ ছিল না, হয়তো আমাদের দুই একটা ওভার বাজে হয়েছে, শেষের দিকে আমরা বেশ কিছু রান দিয়েও ফেলেছি বেশি। তবে এরপরও আমি বলব না এটা কঠিন ছিল, এটা চেজেবল স্কোরই ছিল। আমাদের ব্যাটারদের অ্যাপ্লিকেশন ঠিক ছিল না।’

সম্পর্কিত খবর