সকালের সেশনে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ধস
দারুণ আনন্দ নিয়ে লাঞ্চে গেল ভারত। সঙ্গে নিল জয়ের ঘ্রাণ! বিশাখাপত্তম টেস্টের চতুর্থদিনের প্রথম সেশনেই এই ম্যাচের হিসেব বদলে দিলো স্বাগতিকরা। এই সেশনে সবমিলিয়ে পাঁচ উইকেট হারালো ইংল্যান্ড। স্কোরকার্ড জানাচ্ছে ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে ১৯৪ রান। ম্যাচ জয় থেকে এখনো তারা দাড়িয়ে ২০৫ রানের দূরত্বে।
উইকেটে যেভাবে স্পিন বাঁক বদল করছে তাতে বাকি ৫ উইকেটে এই রান তোলা ইংল্যান্ডের জন্য ভীষণ কঠিন টার্গেট।
৩৯৯ রানের টার্গেট নিয়ে আগের দিন ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটা মন্দ হয়নি। ৬৭ রানে ১ উইকেট নিয়ে আজ ম্যাচের চতুর্থদিন শুরু করে ইংল্যান্ড। তবে এদিনের প্রথম সেশনটা হলো শুধুই ভারতের। এই সেশনে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে বিশাখাপত্তম টেস্ট জয়ের খুব কাছে এখন ভারত।
সকালের সেশনে ভারতের স্পিনারদের সামাল দিতে পারেনি ইংল্যান্ড। পাঁচ উইকেটের মধ্যে চারটি উইকেট তুলে নেন স্পিনাররা। একটি কব্জা করেন পেসার জাসপ্রিত বুমরা।
সকালে উইকেট শিকারের আনন্দ শুরু করেন স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রেহান আহমেদকে ফেরান তিনি। ২৩ রান করে এলবিডব্লু হন রেহান। মিডলঅর্ডারে অলিও পোপের দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ভারতকে আরেকবার আনন্দে ভাসান রোহিত শর্মা। অশ্বিনের বলে পোপের ক্যাচটা বাঁহাত বাড়িয়ে রোহিত শর্মা অবিশ্বাস্য টাইমিংয়ে তালুতে নেন। আগের ম্যাচের বড় সেঞ্চুরিয়ান পোপ এই টেস্টে দুই ইনিংসেই ২৩ করে রান করেন। জো রুট বাজে শট খেলে আকাশে বল তুলে দেন। অক্ষর প্যাটেল সহজেই সেই ক্যাচ ধরেন। জনি রেয়াবস্টো ও জ্যাক ক্রাউলির ব্যাটে শুরুর এই ধাক্কা কাটিয়ে ভালোভাবেই সামনে বাড়ছিল ইংল্যান্ড।
কিন্তু লাঞ্চের ঠিক আগেভাগে ভারত ফের জ্বলে উঠে। ক্রাউলিকে এলবিডব্লু করেন কুলদীপ যাদব। আম্পায়ার আউট দেননি। ভারত রিভিউ নেয়। সিদ্ধান্ত যায় তাদের পক্ষে। ১৩২ বলে ৭৩ রান করে ওপেনার ক্রাউলি ফিরে আসেন। জুটি ভাঙ্গার পর অন্যপ্রান্তে আক্রমনাত্মক খেলতে থাকা জনি বেয়ারস্টোও ছন্দ খুঁইয়ে বসেন। ক্রাউলির আউটের পরের ওভারেই বুমরার বলটা পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন বেয়ারস্টো। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে জানান, এলবিডব্লু। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি বেয়ারস্টোর।
১৯৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড লাঞ্চে গেল। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ব্যাটিং কৃতিত্বের ওপরই এখন নির্ভর করছে এই ম্যাচে ইংল্যান্ড কতদুর যেতে পারে?
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (চতুর্থদিন লাঞ্চ পর্যন্ত) ভারত ৩৯৬ ও ২৫৫। ইংল্যান্ড ২৫৩ ও ১৯৪/৬।