মিলল চেনা সাকিবের দেখা

মিলল চেনা সাকিবের দেখা

চোখের সমস্যা, যার কারণে বল দেখতে সমস্যা হচ্ছিল বেশ। সাকিব আল হাসান মুখে স্বীকার না করলেও ব্যাটিংয়ের সময় তার মাথার পজিশনের বদলে যাওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছিল, বড় সমস্যাই হয়েছে তার। তবে সেসব একপাশে রেখে ফর্মে ফিরতে বেশ কিছু দিন ধরেই নেটে সময় দিচ্ছিলেন বেশ। সে পরিশ্রম ফল দিল আজ। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে তিনি খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। তার দল রংপুরকে তিনিই দিয়েছিলেন বড় রানের দিশা। তার ভিতে দাঁড়িয়েই রংপুর রাইডার্স আজ পেয়েছে ১৭৫ রানের লড়াকু পুঁজি।

এবারের বিপিএলে শুরু থেকে বোলার হিসেবে খেলে যাচ্ছিলেন। ব্যাটার স্বত্ত্বাটাকে ব্যবহারই করছিলেন না কিছু দিন ধরে। এক ম্যাচে আটে নামলেন ব্যাট করতে, আরেক ম্যাচে দলের ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও নামলেন না ব্যাট হাতে। 

গেল বারের বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। সেই তিনিই এবার বড্ড অচেনা। চোখের সমস্যা হোক আর যাই হোক, তিন ইনিংসে সাকুল্যে ৪ রান, সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২, এমন পরিসংখ্যান সাকিবের নামের পাশে অন্তত মানায় না। 

আজ সেসবকে পেছনে ফেললেন তিনি। শুরুটা অবশ্য এমন ছিল না। রনি তালুকদার যখন ৩৯ রান করে ফিরে গেছেন, এরপর নেমেছেন। প্রথমে একটু সময় নিয়েছেন। ১৪ বল যখন খেলে ফেলেছেন, তখনও তার রান ছিল মোটে ১১।

তাণ্ডবটা শুরু করলেন এরপরই। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে একমাত্র চারটা মারলেন প্রথমে। এরপর চতুরঙ্গা ডি সিলভার এক ওভারে দুটো, পরে মোসাদ্দেকের ওভারে ছয় হাঁকালেন আরও একটা। তার ইনিংসের শেষ ছয় বলে রান তুললেন ২৩। ৪, ৬, ৬, ১ , ৬ হাঁকালেন, মাঝে বাবরও ফিরে গেছেন ৪৭ রান করে, এরপর তিনিও আউট হলেন। তার ২০ বলে ৩৪ এর পরের মঞ্চটায় দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ নবী আর নুরুল হাসান সোহানের ক্যামিও দলকে এনে দেয় বড় পুঁজি।

আজকের ইনিংসটায় সাকিব সব ছক্কাই মেরেছেন কাউ কর্নার আর মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে। স্লগে জোর দিয়েছিলেন, যার অনুশীলনটা শেষ কিছু দিন ধরেই করে যাচ্ছিলেন নেটে। 

আজকের এ ইনিংসে তার ফেরার শুরু বলার উপায় নেই। শুরুতে আড়ষ্ট ছিলেন, হেড পজিশনে এখনও অস্বস্তিটা চোখে পড়ার মতো। তবে এই ইনিংসটা যে ব্যাটার সাকিবের আত্মবিশ্বাসটা আরও বেশি বাড়িয়ে দেবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এমন আত্মবিশ্বাসী সাকিবকেই তো চায় রংপুর। বাংলাদেশও বৈকি! 

সম্পর্কিত খবর