সাকিবের দিনে রংপুরের বিশাল জয়
সদ্য উইকেটে আসা আরাফাত সানিকে ঘিরে আছে জনাদশেক রংপুর ফিল্ডারের জটলা। উদ্দেশ্য এই বলেই উইকেট তুলে নেওয়ার। ব্যাটে বলে দারুণ পারফর্ম করা সাকিব আল হাসান যে চলে এসেছেন ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিকের দুয়ারে! সে উদ্দেশ্যটা শেষমেশ হাসিল হয়নি। তবে তাতে রংপুর রাইডার্সের খুব বেশি আফসোস থাকার কথা নয়। শেষমেশ যে রংপুর দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়েছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে!
শুধু সাকিব বললে রংপুরের বাকিদের ওপর অবিচারই করা হবে যেন। ব্যাটিংয়ে যেমন সবাই জ্বলে উঠলেন, বোলিংয়েও তাই। টস জিতে ব্যাট করতে নামল রংপুর। ফর্মে ফিরলেন ওপেনার রনি তালুকদার। ২৪ বলে খেললেন ৩৯ রানের ইনিংস। বাবর আজম রইলেন তার মতো ছন্দেই, আজ করলেন ৪৭ রান।
এরপর সাকিবের পালা এলো, সাকিব ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দলের ইনিংসটাকে দিলেন বড় পুঁজির দিশা। সেখানে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ নবী আর নুরুল হাসান সোহানের ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ দুটো ক্যামিও রংপুরকে নিয়ে গেল ১৭৫ পর্যন্ত।
জবাব দিতে নেমে ঢাকা শুরু থেকেই ছিল নড়বড়ে। রংপুরের বোলাররা থিতুই হতে দেননি ঢাকার ব্যাটারদের। শুরুতে শেখ মাহেদি তুলে নিলেন সাইম আয়ুব আর সাব্বির হোসেনকে। চারে নামা অ্যালেক্স রসকে দিয়ে প্যাভিলিয়নের রাস্তা মাপালেন সাকিব।
নাঈম শেখ ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন পাল্টা আক্রমণের। সালমান ইরশাদ ফেরালেন তাকে। এরপর দুই উইকেট গেল হাসান মাহমুদের দখলে, ফেরালেন গুলবাদিন নাইব আর অধিনায়ক মোসাদ্দেককে।
চতুরঙ্গা ডি সিলভার উইকেট গেল সালমান ইরশাদের ঝুলিতে। এরপর তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলামকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে সাকিব জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। তবে সেটা শেষমেশ না হলেও রংপুরের জয়টা তাতে আটকে থাকেনি। বিশাল জয় নিয়ে তবেই মাঠ ছাড়ে বিপিএলের বর্তমান টেবিল টপাররা।